বেআইনি ভাবে বালি-পাথর তোলায় নামছে জলস্তর, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
জলের সমস্যা তৈরি হবে, বর্ষায় ক্ষতি হবে এলাকার নদীবাঁধেরও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জল না থাকায় শুকিয়ে যাচ্ছে এলাকার গাছপালা। জলশূন্য হয়ে পড়ছে কুয়ো। এজন্য গ্রামবাসীরা দায়ী করছেন নদী খননকেই। মাল ব্লকের চেল কলোনি এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার এর জেরে চেল কলোনি এলাকায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, চেল কলোনির পাশেই রয়েছে চেল নদী (river)। বহুদিন ধরেই এই নদীতে নেমে গিয়েছে বেশ কিছু ক্যাসার (বালি পাথর চালার মেশিন) ও জেসিবি মেশিন। নদীর বুক খুঁড়ে নিয়মিত তোলা হচ্ছে বালি-পাথর। আর এতেই নদীর জলস্তর (water level) নামছে। চেল সেতুর ২০০ মিটারের মধ্যে থেকেও বালি-পাথর তোলা হচ্ছে। নদীগর্ভে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে যাচ্ছে। জল ওই গর্তে গিয়ে জমা হওয়ায় গ্রামের বাড়ির কুয়োর জল শুকিয়ে যাচ্ছে। জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে গাছপালাও। বারবার বিভিন্ন জায়গায় বলেও কোন লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান বলে দাবি তাঁদের। এলাকার মহিলা শ্যামদাসী রায় বলেন, জলের জন্য কষ্ট হচ্ছে। বহু দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে। বেআইনি ভাবে নদীবক্ষ খোঁড়ার ফলেই এই সমস্যা।
এলাকার এক ক্যাসার মালিক সঞ্জয় পাল বলেন, চেল নদীতে বহু ক্যাসার আছে। কিন্তু গ্রামের কিছু যুবক শুধু আমার উপরই হম্বিতম্বি করেন। আমি নিজের উদ্যোগে গ্রামে বেশ কিছু কুয়ো (well) তৈরি করে দিয়েছি। কিছু কারণে কুয়ো তৈরি করতে বিলম্ব হচ্ছে। একটু সময় দিলে সব কুয়োই তৈরি হয়ে যাবে।
তবে এলাকাবাসী এতে খুশি নন। তাঁরা বলছেন, এ ভাবে কুয়ো করে দেওয়াটা কোনও সমাধান নয়। যে ভাবে দিনের পর দিন নদী থেকে বালি-পাথর তোলা হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে চেল কলোনি-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। জলের সমস্যা তৈরি হবে। বর্ষায় ক্ষতি হবে এলাকার নদীবাঁধেরও (dam)।
ওদলাবাড়ি পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, এ ভাবে নদী থেকে বালি-পাথর তোলা আইনিবিরুদ্ধ। তবে এটা যেহেতু নদীর ব্যাপার, তাই রেভিনিউ দফতরই যা বলার বলবে। রেভিনিউ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, অচিরেই এই বেআইনি কাজ বন্ধ করা হবে।
আরও পড়ুন: WB assembly election 2021 : প্রথম দফার ভোটের ২ দিন আগে ৪ পুলিস কর্তা সহ জেলাশাসক বদলি কমিশনের