রাজ্যে বনধের চিহ্ন মাত্র নেই, কোনও শ্রমিক-কৃষক স্বার্থ নেই, রয়েছে রাজনীতি: দিলীপ

তিনি বলেন, “এই বনধ রাজনৈতিক কারণে ডাকা হয়েছে। ওদের শক্তি এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। নির্বাচনের আগে এটা এখন শক্তি পরীক্ষার সময়। ওরা নিজেদের জাহির করতে বনধ ডেকেছে। এতে কোনও শ্রমিক, কৃষকের স্বার্থের প্রশ্ন নেই।”

Updated By: Jan 8, 2019, 02:12 PM IST
রাজ্যে বনধের চিহ্ন মাত্র নেই, কোনও শ্রমিক-কৃষক স্বার্থ নেই, রয়েছে রাজনীতি: দিলীপ

নিজস্ব প্রতিবেদন:  “রাজ্যের বনধের চিহ্ন মাত্র নেই। এখানকার মানুষ বনধ স্বীকার করেনি।” সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিক্রিয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

“আপনারাও তো বনধ ডেকেছিলেন?” সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, “আমরা ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে বনধ ডেকেছিলাম। মানুষকে আবেদন করেছিলাম রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যখন এত কিছু হল, তখনও আমরা বনধ ডাকিনি। তবে জল যখন মাথায় ওপর চড়ে যায়, তখনই আমরা বনধ ডেকেছিলাম। যখন স্কুলে গুলি চলল, তখন প্রতিবাদ জানাতেই হয়। মানুষ সেই বনধ সমর্থন করেছিল।”

আরও পড়ুন: প্রথম দিনের বনধের চেহারা দেখে কৌশল বদলানোর ইঙ্গিত বিমানবাবুর

তিনি বলেন, “এই বনধ রাজনৈতিক কারণে ডাকা হয়েছে। ওদের শক্তি এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। নির্বাচনের আগে এটা এখন শক্তি পরীক্ষার সময়। ওরা নিজেদের জাহির করতে বনধ ডেকেছে। এতে কোনও শ্রমিক, কৃষকের স্বার্থের প্রশ্ন নেই।”

অন্যদিকে, বনধ প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “ কাজের ব্যাপারে তৃণমূল ও বিজেপি একই পথে হাঁটে। তলে তলে দুদলেরই যোগ রয়েছে।”

আরও পড়ুন: ধর্মঘট ব্যর্থ করার পরিকল্পনা সফল হয়নি: রবীন দেব

তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,  “এই বনধের কোনও জনভিত্তি নেই। ৩৪ বছরের শাসনের কথা  মানুষের মনে দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে।  গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ হোক।  ধর্মঘট ডেকে ডেকে ধর্মঘটের যুক্তিটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধর্মঘট কর্মনাশা।   ধর্মঘটের রাজনীতিতে ফিরে আসছে ওরা।  বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটিয়ে বলবে বনধ সফল। মানুষের প্রতিবাদী কন্ঠকে দাবিয়ে রাখা যায় না।”

.