আগামিকালও বনধ হচ্ছে, আলিমুদ্দিনে দাঁড়িয়ে বললেন বিমান
“ধর্মঘট মানুষ সমর্থন করেছে। আগামিকালও ধর্মঘট হচ্ছে। নির্থারিত কর্মসূচিতে কোনও পরিবর্তন নেই।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: “ কাজের ব্যাপারে তৃণমূল ও বিজেপি একই পথে হাঁটে। তলে তলে দুদলেরই যোগ রয়েছে।” বামেদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা বনধের প্রথম দিন সকালেই জি ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
বামেদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট এখনও পর্যন্ত কতটা সফল? বনধের প্রথম দিন বেলা ১ টায় এই প্রশ্ন করাতে বিমান বসুর উত্তর, “ধর্মঘট মানুষ সমর্থন করেছে। আগামিকালও ধর্মঘট হচ্ছে। নির্থারিত কর্মসূচিতে কোনও পরিবর্তন নেই।” বিমান বসুর অভিযোগ, ধর্মঘট ব্যর্থ করতে সিপিএম কর্মীদের গ্রেফতারের কৌশল নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার সকালে ধর্মঘট শুরু প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মঘটীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি বিমানবাবুর। তিনি বলেন, “ধর্মঘট রুখতে এটা রাজ্য সরকারের কৌশল। আমাদের অনেক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারি আসলে সরকারের কৌশল।”
আরও পড়ুন: কর্মসূচিতে কাটছাঁট, বাংলার ৪ জায়গা থেকে বেরোবে বিজেপির রথ
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই যাদবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। গ্রেফতার করা হয় অনাদি সাহু সহ আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে। ধর্মঘটের প্রথম দিনে সরকারের এই কৌশল বুঝে দ্বিতীয় দিনে স্ট্র্যাটেজি বদলানোর আভাস দিয়েছেন বিমানবাবু। তবে বিষয়টি ঠিক কী হবে, সেব্যাপারে খোলসা করেননি। তিনি বলেন, “গ্রেফতারি সরকারের কৌশল। সেটা বোঝা গিয়েছে। আমরাও কৌশল পরিবর্তন করতে পারি। ভাবনাচিন্তা চলছে। তবে সেটা কী, এখনই বলে দিলে রাজ্য সরকারও সেভাবে ব্যবস্থা নেবে।” কিছুটা হেয়ালি করেই কথাটা বলেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, “এদিন ধর্মঘট ব্যর্থ করতে রাজ্য সরকারের প্রয়াস দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল ও বিজেপির তলে তলে যোগ রয়েছে। কাজের ব্যাপারে দুদলই এক। সেটা আগেই বলেছিলাম, তা আবার আজ প্রমাণিত হল।
আরও পড়ুন: ধর্মঘট ব্যর্থ করার পরিকল্পনা সফল হয়নি: রবীন দেব
যদিও কর্মনাশা বনধ ব্যর্থ বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই বনধের কোনও জনভিত্তি নেই। ৩৪ বছরের শাসনের কথা মানুষের মনে দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ হোক। ধর্মঘট ডেকে ডেকে ধর্মঘটের যুক্তিটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধর্মঘট কর্মনাশা। ধর্মঘটের রাজনীতিতে ফিরে আসছে ওরা। বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটিয়ে বলবে বনধ সফল। মানুষের প্রতিবাদী কন্ঠকে দাবিয়ে রাখা যায় না।”