দোরগোড়ায় নিম্নচাপ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতেও মিটল না ঘাটতি

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী দক্ষিণের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নাগারে বর্ষণের কোনও সম্ভাবনা নেই। দিন কয়েকের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

Updated By: Jul 29, 2019, 04:49 PM IST
দোরগোড়ায় নিম্নচাপ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতেও মিটল না ঘাটতি

নিজস্ব প্রতিবেদন: সক্রিয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তার জেরে ফের দক্ষিণবঙ্গের দিকে মুখ তুলে চেয়েছে বর্ষা। গত শুক্রবার থেকে সপ্তাহান্ত জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে তাতেও বৃষ্টিপাতের ঘাটতির পরিমান তেমনভাবে মেটেনি। আগামী কয়েকদিনও এই পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে এই সময়ে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। 

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী দক্ষিণের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নাগারে বর্ষণের কোনও সম্ভাবনা নেই। দিন কয়েকের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এরপর বৃষ্টিপাতের গতিবিধি পরিবর্তন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য টানা অনাবৃ্ষ্টির পর গত কয়েকদিনের বর্ষণে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। রুখাশুখা মাঠ, খানাখন্দ জল পেয়েছে কিছুটা। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কম বেশি বৃষ্টি হয়েছে। 

সোমবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতায়। পরিমান ২৩.৭ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের থেকে ৬৩ শতাংশ বেশি। এছাড়াও পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি হয়েছে ২১ মিলিমিটার। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গড় বৃষ্টির পরিমান ১৫ মিলিমিটার যা স্বাভাবিকের থেকে ১৪ শতাংশ বেশি। গত কদিনে বৃষ্টির পরেও এই ঘাটতি কমেনি। হাওড়ায় এখনও বৃষ্টির ঘাটতি ৮০ শতাংশ। উঃ ২৪ পরগনায় ঘাটতি ৬১ শতাংশ। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতির মোট পরিমান ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: দাম কমল বলে, বৃষ্টি শুরু হতেই দিঘায় জালে উঠল ১২ টন ইলিশ

এখনও পর্যন্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৪৭ শতাংশ। চলতি বছর অনাবৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় ধানের বীজতলা শুকিয়ে গিয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন রাজ্যে চাষীরা। জুলাই শেষেও জলের অভাবে অধিকাংশ জায়গাতেই ধান রোয়া যায়নি। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমে পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। জলাধারে জল না থাকায় খালগুলির জল ছাড়েনি সেচ দফতর। ফলে নিম্নচাপের প্রভাবে এই ঘাটতি মেটে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী। 

.