তৃণমূলের ব্রিগেডের আমন্ত্রণ ফেরাল সিপিআই-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

'পশ্চিমবঙ্গে দলের সঙ্গে তৃণমূলের যা সম্পর্ক তাতে তাদের ব্রিগেডে যোগদানের সম্ভাবনা নেই। প্রতিদিন তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ব্রিগেডে যোগদানের প্রশ্নই ওঠে না।'

Updated By: Dec 28, 2018, 07:55 PM IST
তৃণমূলের ব্রিগেডের আমন্ত্রণ ফেরাল সিপিআই-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে তৃণমূলের ব্রিগেডের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করলেন সিপিআই। শুক্রবার সিপিআইয়ের মহাসচিব এস সুধাকর রেড্ডি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএর সঙ্গে তৃণমূলের যা সম্পর্ক তাতে কোনও অবস্থাতেই তাঁর পক্ষে ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডে যোগদান সম্ভব নয়। 

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী শক্তিকে একজোট করতে ১৯-এ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশে নাড়া বাঁধতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের সমস্ত বিরোধী দলের কাছে ইতিমধ্যে পৌঁছেছে আমন্ত্রণপত্র। আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি-র মহাসচিব এস সুধাকর রেড্ডিও। যদিও আমন্ত্রণ তিনি গ্রহণ করবেন না বলে ইতিমধ্যে স্পষ্ট করেছেন। 

এস সুধাকর রেড্ডি জানিয়েছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে দলের সঙ্গে তৃণমূলের যা সম্পর্ক তাতে তাদের ব্রিগেডে যোগদানের সম্ভাবনা নেই। প্রতিদিন তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ব্রিগেডে যোগদানের প্রশ্নই ওঠে না।'

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করুন না কেন, কেন্দ্রে ও রাজ্যে যে রাজনৈতিক সমীকরণ আলাদা তা খুবই স্পষ্ট। তাই কেন্দ্রে একসুরে বিজেপি বিরোধিতায় সরব হলেও রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চায় না বাম বা কংগ্রেস। দিন কয়েক আগে দিল্লিতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। রাহুল গান্ধীকেও তৃণমূলের ব্রিগেডে কংগ্রেসের প্রতিনিধি না পাঠাতে অনুরোধ করেন তিনি। 

.