গঙ্গারামপুরে মহিলাকে মারধরের ঘটনায় রিপোর্ট তলব আদালতের
তাঁর আরও দাবি, ওই মহিলা কেবলমাত্র বিজেপি কর্মী বলেই তার ওপর হামলা হয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গঙ্গারামপুরে মহিলাকে মারধরের ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট চাইলেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। এর পরেই ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথোরিটির কাছে রিপোর্ট তলব করে আদালত। রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে ওই আইনজীবী জানান, যেভাবে প্রকাশযে ওই মহিলাকে মারধর করা হয়েছে তাতে কার্যত হতবাক সকলে। তাঁর আরও দাবি, ওই মহিলা কেবলমাত্র বিজেপি কর্মী বলেই তার ওপর হামলা হয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গেরুয়া শিবিরে ধাক্কা, সন্দেশখালিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন ২০০০ বিজেপি কর্মী
শনিবার গঙ্গারামপুরে এক মহিলাকে মারধরের নৃশংস দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে। রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা প্রকল্পের আওতায় একটি রাস্তা নির্মাণকে নিয়ে ঝামেলার শুরু। একশিক্ষিকা-সহ ২ প্রতিবাদী মহিলাকে পায়ে দড়িবেঁধে টেনে হিঁচড়ে মারধর করা হয় প্রকাশ্যে। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। কোথায় সূত্রপাত? জানা গিয়েছে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর এলাকায় রাস্তা নির্মাণ করছে পঞ্চায়েত। প্রতিবাদকারী দুই মহিলার অভিযোগ ছিল ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত গণবিবাহের অনুষ্ঠানে ধুন্ধুমার, মালদহে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক
রাস্তা তৈরিতে বাধা দেন দুই মহিলা। এরপরেই তাদের ওপর শুরু হয় অমানবিক অত্যাচার। অভিযোগ, এক মহিলা বিজেপি কর্মীর জমি ওই প্রকল্পের মধ্যে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে প্রতিবাদ জানান ওই মহিলা। দুই মহিলাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি একজন মহিলা। গোটা ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে।