চারজনের পরিবার; করোনা যুদ্ধে হার মানলেন বাবা-মা-ভাই, একা ফিরলেন ঈশানী
চিকিত্সার ব্যবস্থা হলেও গত ১৩ মে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হার মানেন দীপ্তি সিনহা
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা যুদ্ধে হার মানলেন একই পরিবারের ৩ জন। চার জনের পরিবার। মাত্র ১৬ দিনের মধ্যেই অতিমারী কেড়ে নিল পরিবারের তিনজনকে।
আরও পড়ুন-ভরদুপুরে বিকট বিস্ফোরণ, উড়ে গেল TMC কর্মীর গোয়াল ঘরের চাল
সিউড়ির সমন্বয় পল্লীর বাসিন্দা ছিলেন রামদাস সিনহা। স্ত্রী দীপ্তি, ছেলে রাজদীপ ও মেয়ে ইশানীকে নিয়ে তাঁর ছোট পরিবার। রামদাসবাবু অবসরপ্রাপ্ত ব্য়াঙ্ক কর্মী। ছেলে রাজদীপ ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত।
গত ৪ মে করোনা আক্রান্ত হন দীপ্তি সিনহা। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় সিউড়ি(Suri) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরে শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট(Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজে। তখন দীপ্তির সঙ্গে রামপুরহাট চলে যান বাকীরা। সেখানেই সবাই করোনা আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন-কলকাতায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ যাদবপুর-বেহালায়, পুরসভার সমীক্ষা উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
চিকিত্সার ব্যবস্থা হলেও গত ১৩ মে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হার মানেন দীপ্তি সিনহা। ঠিক তার ৭ দিন পরে চলে যান রামদাস সিনহা। আর তার একদিন পরেই করোনা কেড়ে নেয় রাজদীপ সিনহাকে। অতিমারীর সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন একমাত্র ঈশানীই। ঘরে ফিরেছেন বটে, কিন্তু পরিবারের কেউ নেই। করোনা একেবারে একা করে দিয়ে গিয়েছে ঈশানীকে।