Canning: অন্ধ দম্পতিকে পথ দেখালেন বিপর্যয় মাকাবিলা দফতরের অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী...

Canning News: ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পুরাতন বিল্ডিং থেকে অন্ধ দম্পতিকে হাত ধরে মাতৃমা বিল্ডিংয়ে নিয়ে যায়। সেখানে শিশু বিভাগের ২৩ নম্বর রুমে শিশু বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ গৌতম মন্ডলের ঘরে হাজির হয়। 

Updated By: Nov 22, 2024, 12:48 PM IST
Canning: অন্ধ দম্পতিকে পথ দেখালেন বিপর্যয় মাকাবিলা দফতরের অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী...
ফাইল ছবি

প্রসেনজিত্‍ সর্দার: ক্যানিংয়ের তালদির বাসিন্দা অন্ধ দম্পতি। একমাত্র সন্তানের চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন। একরত্তি সন্তানকে কোলে নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে এদিক ওদিক ঘুরছিলেন। খুঁজে পাচ্ছিলেন না শিশু বিভাগ। এমনকি হাসপাতাল চত্বরে অন্ধ দম্পতি খোঁজ নিচ্ছিলেন শিশু বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ গৌতম মন্ডল কত নম্বর রুমে বসেন। হাসপাতাল চত্বরে রোগী ও রোগীর পরিবার পরিজনদের ভীড় থাকলেও অন্ধ দম্পতির কথায় কেউ কর্ণপাত না করে যে যার মতো এদিক ওদিক চলে যাচ্ছিলেন। এমন ঘটনা নজরে পড়তে অন্ধ দম্পতিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন জনৈক সঞ্জয় সাহা ও হাসপাতালে কর্তব্যরত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের অস্থায়ী চুক্তি ভিত্তিক কর্মী ফারুক সর্দার।

আরও পড়ুন, SI Suspended: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ভাষায় আক্রমণ, বারাবনি থানার ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড...

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পুরাতন বিল্ডিং থেকে অন্ধ দম্পতিকে হাত ধরে মাতৃমা বিল্ডিংয়ে নিয়ে যায়। সেখানে শিশু বিভাগের ২৩ নম্বর রুমে শিশু বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ গৌতম মন্ডলের ঘরে হাজির হয়। অন্ধ দম্পতিকে দেখে শিশু বিশেষঞ্জ চিকিৎসক জানান, ‘ওরা আমার কাছেই আসে শিশুর চিকিৎসার জন্য। খুব ভালো ওরা।’ এরপর শিশু বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ গৌতম মন্ডল স্বস্নেহে ছোট্ট শিশুর চিকিৎসা করেন। প্রেসকিপশন লিখে দেন। অন্ধ দম্পতিকে নিয়ে আবারও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পুরাতন বিল্ডিংয়ে হাজীর হয় ফারুক। সেখানে ফার্মেসি থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে দম্পতির হাতে তুলে দেয়। এরপর কোন ওষুধ কখন কিভাবে খাওয়াতে হবে সেটাও বুঝিয়ে দেয়।

এছাড়াও অন্ধ দম্পতি যাতে নির্বিঘ্ন বাড়িতে পৌঁছাতে পারে তার জন্য দম্পতির হাত ধরে টোটো গাড়িতে তুলে দেয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের অস্থায়ী চুক্তি ভিত্তিক কর্মী ফারুক সর্দার। এমন মানবিক কর্মকান্ডের জন্য অন্ধ দম্পতি সুজাতা ও অনিমেশ পড়িয়া কৃতঞ্জতা জানিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, পূর্ব মেদনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা অনিমেশ পড়িয়া। বিগত দিনে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে দুটি চোখের দৃষ্টি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেন।

অন্যদিকে তালদির বাসিন্দা সুজাতা ও অন্ধ। বন্ধুবান্ধবদের সহযোগিতায় ঘর বাঁধেন অনিমেশ ও সুজাতা। বর্তমানে ক্যানিংয়ের তালদিতে বসবাস করেন অন্ধ দম্পতি। দম্পতির একমাত্র সন্তান অর্পণ পড়িয়া। অসুস্থ হওয়ায় প্রতিনিয়ত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে হয়। অসহায় অন্ধ দম্পতি  হাসপাতালে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালে কর্তব্যরত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের অস্থায়ী চুক্তি ভিত্তিক কর্মী ফারুক সর্দার জানিয়েছেন, ‘অন্ধ দম্পতি,শিশুকে এনেছিলেন চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালের শিশু বিভাগ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাঁদের কে শিশু বিভাখে পৌঁছে দিয়ে নিজের কর্তব্য পালন করেছি।’

আরও পড়ুন, Jalpaiguri: বাড়ির সিঁড়িতে ঝুলছে গৃহবধূ! পারিবারিক কলহ নাকি অন্য কিছু?

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.