Coromandel Express Accident: বয়স কম থাকলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম, করমণ্ডল দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে বিস্ফোরক সৌগত
Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে কী বলবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে মমতা বলেন, নো কমেন্টস। আমি চাই সত্যিটা বেরিয়ে আসুক। সত্যিটা যেন চেপে দেওয়া না হয়। এত মানুষের মৃত্যু হল। এখন তর্কবিতর্ক করার সময় নয়। তাই সত্যি প্রকাশ পাওয়া প্রয়োজন।
বরুণ সেনগুপ্ত: বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা তিনশোর কাছাকাছি। শুধুমাত্র বাংলারই ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। সোমবার এমনটাই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে এবার শুভেন্দুকে নজিরবিহীন ভাবে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
আরও পড়ুন- শ্রদ্ধা খুনের ছায়া, লিভ ইন পার্টনারের দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করলেন প্রৌঢ়
এদিন শুভেন্দু বলেন, গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে। সিবিআই তদন্তের আদেশ দেওয়ার পর থেকে ওরা এত উদ্বিগ্ন কেন? দুই রেল আধিকারিকের কল ট্যাপ করা যে আগামিদিনে কতবড় ঘটনা হতে চলেছে তা তৃণমূল বুঝতে পারবে। শুভেন্দুর কথা রেশ টেনে বরানগরের টবিন রোডে দলের সভায় শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারার কথা বলেন।
কী বললেন সৌগত? বুধবার দলের সভায় তৃণমূল সাংসদ বলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর শুভেন্দু অধিকারী বলল বালেশ্বরের দুর্ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত আছে। আমার যদি বয়স কম থাকত তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে চটি দিয়ে মারতাম। তোর কি মাথা পাগল হয়ে গিয়েছে? কোথায় বালেশ্বর পশ্চিমবাংলার বাইরে, তৃণমূল ওখানে গিয়ে ট্রেন সাবতাজ করবে? কিন্তু এসব ওরা বলছে কেন? দিল্লির নির্দেশে। বলেছে তোমরা এমন কিছু বলো যাতে আমাদের উপর থেকে দোষটা চলে য়ায়।
এদিকে, সৌগতর ওই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা দিয়েছে বিজেপিও। দলের নেতা কিশোর কর বলেন, সৌগত রায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। ওঁকে এবার অবসর নিতে হবে। বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে। সিবিআই অভিযান হওয়ার ফলে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই কথায় কথায় ভুলভাল বকছে।
উল্লেখ্য, ওই দুর্ঘটনার পর দুবার বালাসোর যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন ঘটনাস্থলে যান মমতা। পরের বার কটকের হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের পরিজনদের আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। মঙ্গলবার কটকের এসপিডি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ওড়িশা সরকার যেভাবে কাজ করেছে তার জন্য ওড়িশা সরকারকে ধন্যবাদ। ইতিমদ্য়েই ওড়িশা সরকারকে একশো অ্যাম্বুল্য়ান্স দিয়ে সাহায্য করেছি। ডাক্তার, নার্সও পাঠানো হয়েছে। এখনওপর্যন্ত বাংলার ৫৭ জন মারা গিয়েছেন। ৯১ জন চিকিত্সাধীন। ৩১ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আহতদের কারও হাত, কারও পা কেটে গিয়েছে। তাদের পরিবারের লোকজনকে চাকরি দেব। যারা মারা গিয়েছেন তাদের ৫ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে কী বলবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে মমতা বলেন, নো কমেন্টস। আমি চাই সত্যিটা বেরিয়ে আসুক। সত্যিটা যেন চেপে দেওয়া না হয়। এত মানুষের মৃত্যু হল। এখন তর্কবিতর্ক করার সময় নয়। তাই সত্যি প্রকাশ পাওয়া প্রয়োজন। অনেকে বলছেন পরিযায়ী শ্রমিক। এরাও আমাদের অর্থনীতির জন্য কাজ করেন। বিহার থেকে মানুষ ওড়িশায় মানুষ যায়, ওড়িশা থেকে মানুষ রাজস্থান যায়। রাজস্থান থেকে বাংলায় আসে। অনেকে দক্ষিণের রাজ্যে যায়। অনেকে আবার দুবাই, আমেরিকাও যায়। পরিযায়ী শ্রমিক বলে কাউকে অসম্মান করা উচিত নয়।