Coochbehar: মৃত্যু কোচবিহারের নির্যাতিতার, দেহের 'দখল' নিতে কিশোরীর বাবাকে নিয়ে দড়ি টানাটানি TMC-BJPর!
১৮ জুলাই স্কুলে যায় ওই কিশোরী। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার।
দেবজ্যোতি কাহালি: যৌন নিগ্রহের শিকার কিশোরীর মৃত্যু হল কোচবিহার এম জে এন হাসপাতালে । দীর্ঘ আট দিন ধরে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ওই কিশোরী। কদিন ধরে চলে যমে-মানুষে টানাটানি। শেষপর্যন্ত বুধবার কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল ওই কিশোরী। যৌন নিগ্রহের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিস মূল অভিযুক্ত সহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিশোরীর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা।
কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের খাপাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে যৌন নিগ্রহ করা হয়। গত ১৮ জুলাই স্কুলে যায় ওই কিশোরী। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। দুদিন পর ২০ জুলাই পরিবারের পক্ষ থেকে পুন্ডিবাড়ি থানায় ওই কিশোরীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ওই কিশোরীকে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে চিকিৎসাধীন-ই ছিল ওই কিশোরী। এদিন মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
এদিকে মৃত্যুর পর ওই কিশোরীর দেহ নিয়ে বচসা তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে । দেহ যখন কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয় যে দেহ তারা নিয়ে যাবে। অপরদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে তারাও দাবি জানায় যে তারা দেহ নিয়ে যাবে। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এবং বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এই নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যায়। নির্যাতিতার বাবাকে একবার তৃণমূলের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই আবার বিজেপির থেকেও নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ নিয়ে শুরু হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন, Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ! ধৃত ৪
পরপুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা স্ত্রীর! দেখে ফেলতেই কামারহাটি ইএসআই কর্মী স্বামীর নির্মম পরিণতি...