নিজস্ব প্রতিবেদন: ছাত্রখুনে জড়িয়েছিল জেলার ছাত্রনেতার নাম। তাঁকে বহিষ্কৃত করে টিএমসিপি সভাপতি হিসাবে যাঁর নাম ফেসবুকে পোস্ট করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ , তা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। রবীন্দ্রনাথবাবুর ঘোষিত টিএমসিপি নেতা সাগর রায়ের নাম ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগে পুলিসের খাতায় রয়েছে। এমনকি এই ছাত্রনেতা খুনে ধৃত মুন্নারও ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর।
বুধবার ফেসবুকে পোস্ট করে জেলার টিএমসিপি-র সভাপতি হিসাবে সাগর রায়ের নাম ঘোষণা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে জল্পনা। ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুণ্ডিবাড়িতে প্রিয়নাথ সরকার নামে এলাকারই এক যুবককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে সাগরের বিরুদ্ধে। সেসময় সাগরের নামে এফআইআর-ও করে নিহত যুবকের পরিবার। খুনে অভিযুক্তকে কেন টিএমসিপি-র সভাপতি হিসাবে বাছা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ছাত্রমহলেই।
আরও পড়ুন: ইমামভাতাও চাই না, দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদানও চাই না, স্পষ্ট করলেন দিলীপ
যদিও এই নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি। সাগর রায়ের বক্তব্য, তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই পুলিসের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের বাড়ির অদূরেই খুন হন কোচবিহার কলেজের ছাত্র মাজিদ আনসারি। কোচবিহারের বিভিন্ন কলেজের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই দলের বিবাদের শিকার হন তিনি। ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছিল মেয়ে... উদ্ধার খুবলে খাওয়া দেহ
মাজিদ আনসারি খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। অভিযোগের তির ওঠে কোচবিহারের তত্কালীন তৃণমূল জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিস। অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল। শাস্তিস্বরূপ দল থেকে বার করে দেওয়া হয় সাবিরকে। এতদিন সেই পদ খালি ছিল।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই সুখবর: ১০০ টাকার পেট্রোল কিনলে ফেরত পাবেন ৪০ টাকা ৭৫ পয়সা!
বুধবার সাবিরের জায়গায় নতুন সভাপতি হিসাবে খুনে অভিযুক্ত সাগর রায়ের নাম ফেসবুকে পোস্ট করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। আর তা নিয়েই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নতুন বিতর্ক।
টিএমসিপি-র সভাপতি হিসাবে খুনে অভিযুক্তের নাম! রবীন্দ্রনাথের পোস্টে বিতর্ক