Mamata Banerjee: দার্জিলিং জমজমাট! রাজ্যপালের চায়ের আড্ডায় মমতা...
পাহাড়ে পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল।
সুতপা সেন: দু'জনেই এখন পাহাড়ে। তৃণমূলের মুখপাত্র 'জাগো বাংলা'য় যেদিন বেনজির ভাষায় আক্রমণ করা হল রাজ্যপালকে, সেদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়ের আমন্ত্রণ জানালেন জগদীপ ধনখড়। দার্জিলিং রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপাল তখন কলকাতায় ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার 'কালী' বিতর্কে রাজভবনের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে মা কালীর ছবি ও প্রায় শ'দুয়েক সাধু। স্রেফ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের প্রতিবাদ নয়, গোটা ঘটনায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: বিয়ে করে আসার পর ভাইপো বউয়ের কাছেই গুর্খালি শিখব: Mamata Banerjee
মা-কালীর ছবি ও সাধুদের নিয়ে কেন রাজভবনে বিরোধী দলনেতা? রাজ্যপালকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন 'জাগো বাংলা'র লেখা হয়, 'রাজভবন কি বিজেপির সদর দফতর? নাকি রাজভবন বিজেপির বিকেলের বৈঠকখানা? নাকি বিজেপি নামটা শুনলেই রাজভবনের সমস্ত আইন, রীতি, নীতি, নিরাপত্তা শিকেয় ওঠে? যে রাজভবনে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না, সেখানে বিরোধী দলনেতা প্রবেশ করছেন সাধু-সন্ন্য়াসীদের বিরাট দল নিয়ে। সাধু-সন্ন্যাসীদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও সম্ভ্রম রেখেই বলতে হচ্ছে, রাজভবনকে রাজ্যপাল কার্যত নয়, বাস্তবতই ধর্মীয় রাজনীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছেন। তাঁর শুধু সাংবিধানিক তকমাটাই রাজ্য়পাল। আসলে তিনি মনে-প্রাণে ভারতীয় জনতা পার্টি....'
তিন সফরে এখন পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দার্জিলিংয়ে পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুধু তাই নয়, শৈলশহরে পৌঁছেই আবার মুখ্যমন্ত্রীকে আবার চা-চক্রের আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।