Chinsurah: খোঁড়া রাস্তায় ধস চুঁচুড়ায়, বিয়ের মরসুমের আগে চিন্তায় এলাকাবাসী
বাড়ির সামনে রাস্তায় বড় বড় গর্ত আর মাটি জড়ো করা। কী করে বিয়ে বাড়িতে লোকজন আসবে আর গাড়িই বা আসবে কী করে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। সোনালী দেবীর মত আরও অনেকেই আছেন যাদের বাড়িতে বিয়ে নিয়ে চিন্তা রয়েছে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শন করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খোঁড়া রাস্তা এবং ধসে সুষ্ঠুভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়া নিয়ে চিন্তায় চুঁচুড়া শহরবাসী। কাজ শেষের সময় বেঁধে দিলেন বিধায়ক।
পৌষ সংক্রান্তির পরেই বিয়ের মরসুম শুরু হবে। চুঁচুড়া শহর জুড়ে রাস্তা খোঁড়া, ধস নেমে নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল। কী করে বিয়েবাড়ির গাড়ি ঢুকবে লজে? অনুষ্ঠান বাড়িতে, দুশ্চিন্তায় পাত্র পাত্রী পক্ষ। বিধায়ক পরিদর্শন করে রাস্তার কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দিলেন।
হুগলির চুঁচুড়া শহরে পুজোর আগে থেকে শুরু হয়েছিল কেএমডিএ-র কাজ। নমামি গঙ্গা প্রকল্পের সিউয়েজ ট্রিটমেন্টের কাজে শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা খোঁড়া হয়। কিছু রাস্তার নীচে পাইপ বসিয়ে মেরামত করা হয়। তবে অনেক রাস্তা দীর্ঘদিন খোঁড়া অবস্থায় পরে রয়েছে। দোসর হয়েছে ধস। জলের পাইপ ফেটে গিয়ে ধস নামছে একাধিক জায়গায়। ফলে যান চলাচলে সমস্যা তৈরী হয়। বাস অটো চলাচল করতে পারছে না নির্দিষ্ট রুট দিয়ে। ফলে সমস্যা পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: Egra: সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগেই প্রকাশ্যে বিজেপি-র গোষ্ঠীকোন্দল
দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা খোঁড়া থাকায় এবার নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাঘ মাস পড়লেই শুরু হবে বিয়ের মরসুম। হাতে আর কয়েকটা দিন। বিয়ের প্রস্তুতি শেষ। এমন সময় চিন্তা বাড়িয়েছে রাস্তার অবস্থা। তোলা ফটকের সোনালী মন্ডলের বাড়িতে দুটি বিয়ে। একটি নিজের মেয়ের একটি জায়ের ছেলের।
বাড়ির সামনে রাস্তায় বড় বড় গর্ত আর মাটি জড়ো করা। কী করে বিয়ে বাড়িতে লোকজন আসবে আর গাড়িই বা আসবে কী করে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
সোনালী দেবীর মত আরও অনেকেই আছেন যাদের বাড়িতে বিয়ে নিয়ে চিন্তা রয়েছে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শন করেন। বিধায়ক বলেন, ‘১৮ জানুয়ারীর মধ্যে কাজ শেষ করতে সময় বেঁধে দিয়েছি। রাস্তার মাটি দিয়ে ঠিক মত ভরাট না করায় ধস নামছে সেটাও দেখতে বলেছি’।
ঠিকাদারী সংস্থার কর্মি আফসার মল্লিক বলেন, ‘দিন রাত এক করে কাজ করে চেষ্টা করব শেষ করার’।
পুজো কার্নিভালের জন্য কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। মাঝে কয়েকদিনের বৃষ্টিতেও কাজে বিলম্ব হয়। নমামি গঙ্গার কাজ শেষ করার সময় পেরিয়ে গিয়েছে আগেই। তারপরও ধীর গতিতে কাজ চলায় ভুগতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)