ভারতভুক্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের জমির মালিকানা দিতে বিধানসভায় পাশ হল বিল

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময়ের পর নাগরিকত্ব বেছে নেওয়ার যে বিকল্প ছিটমহলের বাসিন্দাদের কাছে ছিল তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলির ৯২২ জন বাসিন্দা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় ছিটমহলগুলির ২৩,৩২৪ জনের কেউ বাংলাদেশে যাননি। 

Updated By: Nov 19, 2018, 02:40 PM IST
ভারতভুক্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের জমির মালিকানা দিতে বিধানসভায় পাশ হল বিল

নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে পাস হল ছিটমহল বিল। এই বিল পাশ হওয়ায় হস্তান্তরিত ছিটমহলগুলির বাসিন্দাদের জমির মালিকানা নিশ্চিত হবে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত করে মোদী সরকার। তার পর থেকেই ভারতভুক্ত ছিটমহলগুলির বাসিন্দারা জমির মালিকানা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন।   

এদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় বিলটি। বিল পেশের পর নিজের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ একটা ঐতিহাসিক দিন। অনেক ভাবনা চিন্তার পর ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। 

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময়ের পর নাগরিকত্ব বেছে নেওয়ার যে বিকল্প ছিটমহলের বাসিন্দাদের কাছে ছিল তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলির ৯২২ জন বাসিন্দা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় ছিটমহলগুলির ২৩,৩২৪ জনের কেউ বাংলাদেশে যাননি। 

প্রতিবেশীর ছোড়া কোচ ঢুকল গালে, ওই অবস্থাতেই হেঁটে হাসপাতালে আহত

দীর্ঘ কয়েক দশকের চেষ্টার পর ২০১৩ সালে ভারতীয় সংসদে পাশ হয় ছিটমহল বিনিময় বিল। তবে প্রক্রিয়া কার্যকর করতে একাধিক বাধা ছিল। সেই সব বাধা টপকে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে কার্যকর হয় চুক্তি। ভারতভুক্ত হয় বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল। যার মোট আয়তন ৭,১১০ একর। বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় ভারতের ১১১টি ছিট। যার আয়তন ১৭,১৬০ একর।  

.