মিড ডে মিল-এর চাল বিতরণ নিয়ে ঝামেলা, অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক

নভেম্বর মাসের বরাদ্দ চাল বিতরণ করা হয়নি বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। 

Updated By: Dec 7, 2020, 04:51 PM IST
মিড ডে মিল-এর চাল বিতরণ নিয়ে ঝামেলা, অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল ছুটি থাকলেও গত কয়েকমাস ধরে সরকারি নির্দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ চাল ও আলু বিতরণ করা হচ্ছে। অভিভাবকরা গ্রহণ করছে চাল-আলু। কিন্তু এবার সেই প্রক্রিয়াতেই দেখা গেল বড়সড় বেনিয়ম। নভেম্বর মাসে চাল, আলু বিতরণ না করেই শিক্ষা দফতরের কাগজে কলমে দেখানো হয়ে গেল বিতরণের হিসেব নিকেশ। বিষয়টি সামনে আসতেই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।  

ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের মগরা হাইস্কুলে। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার বিচারে বাঁকুড়া জেলার অন্যতম বড় স্কুল বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের মগরা হাইস্কুল। আর পাঁচটা স্কুলের মতোই সরকারি নির্দেশিকা মেনে এই স্কুলেও করোনা পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের ডেকে চাল, আলু বিতরণ শুরু হয়। বেশ কয়েক মাস ধরে সেই প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ভাবে চললেও তাল কাটে নভেম্বরে। অভিযোগ, নভেম্বর মাসের চাল, আলু অভিভাবকদের বিতরণ না করেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ পাত্র শিক্ষা দফতরের স্থানীয় এস আই অফিসে জানিয়ে দেন, সমস্ত ছাত্র ও ছাত্রীর পরিবারের হাতে চাল ও আলু তুলে দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি অভিভাবকরা জানতে পারেন। সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে জানায়, ডিসেম্বর মাসের চাল. আলু বিলি করা হবে আজ। সেই মতো স্থানীয় অভিভাবকরা আজ সকাল থেকে স্কুলে হাজির হলেও অভিযোগ, প্রথমে স্কুল চত্বরে কর্তৃপক্ষের কারো দেখা মেলেনি। আর তাতেই অভিভাবকদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। পরে ফোন করে প্রধান শিক্ষককে স্কুলে ডেকে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। মিড ডে মিলের চাল বিতরণ সহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। 

এদিকে স্কুলে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তাঁদের জানিয়েছিলেন, স্কুলে নভেম্বর মাসের বরাদ্দ চাল ও আলু বিতরণ করা হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি উচ্চ স্তরে জানানো হবে। এদিকে নভেম্বর মাসের বরাদ্দ চাল বিতরণ করা হয়নি বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, নভেম্বরের বরাদ্দ চাল মজুত রাখা হয়েছে। একসঙ্গে নভেম্বর ও ডিসেম্বরের চাল অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের। 

.