Malbazar: সমস্ত রূপ-লাবণ্য হারিয়ে রোগে ধুঁকছে চা সুন্দরী...

Cha Sundari Home Scheme in Malbazar: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত চা সুন্দরী প্রকল্পে নতুন করে গড়ে ওঠা শ্রমিক আবাসনে বসবাসের জন্য ঘরের চাবি হাতে পেলেও সেই ঘরে এখনও পর্যন্ত থাকতে শুরু করেননি মাল ব্লকের মানাবাড়ি চা-বাগানের শ্রমিকেরা। তবে শ্রমিকদের দাবি, চা সুন্দরী প্রকল্পে মানাবাড়ি চা-বাগানের শ্রমিক আবাসনে এখনও বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়নি বলেই তাঁরা সেখানে থাকতে পারছেন না।

Updated By: Sep 9, 2023, 05:57 PM IST
Malbazar: সমস্ত রূপ-লাবণ্য হারিয়ে রোগে ধুঁকছে চা সুন্দরী...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর চা সুন্দরী প্রকল্পের বাড়ি জঙ্গলে ঢেকেছে। কোনও ঘরেই থাকেন না শ্রমিকেরা। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার উপর খরচ করে বানানো ঘরগুলি। বিভিন্ন ঘরের জানালার কাচ, বিদ্যুতের জিনিসপত্র ভেঙে পড়ে রয়েছে। তবে চা সুন্দরীর দুর্দশার এখানেই শেষ নয়। বর্তমানে ঘরগুলি স্থানীয় যুবকদের একাংশের অবসর বিনোদনের স্থল, তাঁদের নেশার এবং তাসের আখড়ায় পরিণত!

আরও পড়ুন: Kalna: মৃতের ট্রাউজারের পকেটে কয়েক হাজার টাকা! তাজ্জব মর্গের কর্মীরা...

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত চা সুন্দরী প্রকল্পে নতুন করে গড়ে ওঠা শ্রমিক আবাসনে বসবাসের জন্য ঘরের চাবি হাতে পেলেও সেই ঘরে এখনও পর্যন্ত থাকতে শুরু করেননি মাল ব্লকের মানাবাড়ি চা-বাগানের শ্রমিকেরা। তবে শ্রমিকদের দাবি, চা সুন্দরী প্রকল্পে মানাবাড়ি চা-বাগানের শ্রমিক আবাসনে এখনও বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়নি বলেই তাঁরা সেখানে থাকতে পারছেন না।

প্রায় ছমাস আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে মানাবাড়ি চা-বাগানের ৪৪ টি শ্রমিক পরিবারের হাতে প্রথম দফায় ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়েছিল। মানাবাড়ি চা-বাগানের ডোনাই প্রজা, মিনি ওরাওঁ, গোরা মুন্ডার মতো চা শ্রমিকরাও সেদিন নতুন ঘরের চাবি হাতে পেয়ে উৎফুল্ল ছিলেন। কিন্তু কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও এখনও সরকারের তরফে বরাদ্দ করে দেওয়া ঘরে যেতে না পেরে ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের একাংশ। অবিলম্বে বিদ্যুৎসংযোগের ব্যবস্থা করে এখানে স্থায়ীভাবে শ্রমিক আবাসন চালু করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

আশিক প্রজা নামে এক শ্রমিক বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি লাগানো হলেও বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়নি। এদিকে বেশ কয়েকটি আবাসের জানলা-দরজার কাচ কে বা কারা  ভেঙে ফেলেছে। সুইচ বোর্ডেরও ক্ষতি করেছে দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও শ্রমিক আবাসন জুড়ে ঝোপঝাড় ও জঙ্গল বেড়ে উঠেছে। 

তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি'র জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া বলেন, কেন চা-শ্রমিকেরা ওই ঘরগুলিতে থাকছেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম, বহু ঘরের জানালা-সহ বিভিন্ন জিনিস কেউ বা কারা ভেঙে দিয়েছে। এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর শুরু করতে হবে। এ ব্যাপারে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এইভাবেই শ্রমিকদের সঙ্গে বঞ্চনা করছেন। চা সুন্দরীর নামে টাকা নয়ছয় হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Malbazar: ফের দাঁতালের হানা! রাতের অন্ধকারে হাতির পাল তছনছ করল এলাকা...

মানাবাড়ি চা-বাগানে প্রায় সাড়ে আট একর জমির উপর দুদফায় ১ কোটি ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে সবমিলিয়ে  মোট ২০৬টি শ্রমিক আবাসন গড়ে তোলার কাজ হবে। প্রথম দফায় যার মধ্যে ৪৪ টি বাড়ি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। দুটি শোবার ঘর, সঙ্গে খাবার ঘর, রান্নাঘর ও শৌচাগার মিলিয়ে একেকটি বাড়িতে প্রয়োজনীয় রানিং ওয়াটার ও বিদ্যুৎসংযোগের ব্যবস্থাও থাকার কথা। তবে, এখনও পর্যন্ত মানাবাড়ি চা-বাগানের চা সুন্দরী প্রকল্পের আবাসনে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়নি।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.