Bank Fraud: আধারে আঙুলের ছাপ ক্লোন করে জালিয়াতি, অ্যাকাউন্ট থেকে সাফ বিপুল টাকা
Bank Fraud: প্রতারিতর ভাইপো বলেন, গতকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এরকম হয়েছে। এটা একেবারে নতুন পদ্ধতিতে জালিয়াতি নয়। তবে হাল আমলে বেশি হচ্ছে। আঙুলের ছাপ ক্লোন হয়ে যাচ্ছে
চিত্তরঞ্জন দাস: আচমকাই অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে গেল ১০ হাজার টাকা। মোবাইলে মেসেজ আসতেই চমকে উঠলেন দুর্গাপুরের বিধাননগরের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে মেসেজ আসে এইপিএস এর মাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতেই সাইবার ক্রাইম দফতরে মৌখিক অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী। আজ সকাল দশটা নাগাদ সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বিবেকানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়য় নামে ওই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন-গলির মুখেই ছেলেকে মারধর করছিল ৪ যুবক, বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি বাবার
কিভাবে হচ্ছে এমন প্রতারণা? দুর্গাপুরের সাইবার ক্রাইম দফতরের আধিকারিক বিবেকানন্দবাবুকে জানিয়েছেন, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত ৯ জন এমন অভিযোগ করেছেন। আধারের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজে হাতের ছাপ দেওয়া হয়, সেই হাতের ছাপ কোনওভাবে পৌঁছে যাচ্ছে দুষ্কৃতীদের কাছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতামত, বিশেষ করে জমি রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে পর এই অপরাধীদের হাতে যেতে পারে আঙুলের ছাপ। বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় দুমাস আগে কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট কিনে তা রেজিস্ট্রি করে আসেন। জমি রেজিস্ট্রেশন করতেই সব আঙ্গুলের ছাপ লাগে। তাই সাইবার বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ছাড়াও অন্যান্য ভাবেও হতে পারে। যেহেতু আজ শনিবার, তাই ব্যাঙ্কের লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেননি বলে জানান বিবেকানন্দ বাবু।
বিবেকানন্দবাবু বলেন, বিধাননগর ব্রাঞ্চের অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে একটা মেসেজ আসে যে ১০ হাজার টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। এইপিএস উইথড্রল হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি ব্রাঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওরা একটি টোল ফ্রি নম্বর দেয়। সেখানে ফোন করে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করি। জানতে পেরেছি আধারের বায়োমেট্রিক লক করতে হবে। তা জেনেই আমার ভাইপোকে ডেকে বায়োমেট্রিক অফ করাই। আমার পরিচিতদের সবার বায়োমেট্রিক অফ করে দিয়েছি। থানায় ডাইরি করতে গিয়েছিলাম। ওরা বলল গতকাল এরকম ঘটনা ৮টি ঘটেছে। সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্য এসব হয়েছে। আমি চাই আমার টাকা ফেরত দেওয়া হোক। আমরা যখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করাচ্ছি তখন বলে দেওয়া উচিত যে আপানাদের বায়োমেট্রিক বন্ধ করুন।
প্রতারিতর ভাইপো বলেন, গতকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এরকম হয়েছে। এটা একেবারে নতুন পদ্ধতিতে জালিয়াতি নয়। তবে হাল আমলে বেশি হচ্ছে। আঙুলের ছাপ ক্লোন হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বাঁচতে গেলে আধারে বায়োমেট্রিক লক করতে হবে। মোবাইলে এম আধার বা কমপিউটারে ইন্টারনেট খুলে মাই আধার টাইপ করে লগ ইন করবেন। ওখানে বায়োমেট্রিক লকের অপশন রয়েছে। সেটি লক করবেন। তবে সাবধান থাকতে হবে বায়োমেট্রিকই লক করেত হবে। আধার লক করে দিলে কোনও লেনদেন করতে পারবেন না।