কয়লাপাচার কাণ্ডে আরও তৎপর CBI, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোল-সহ ১০ জায়গায় তল্লাসি
বিনয় মিশ্র এবং অনুপ মাজি ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বাড়িতে একযোগে তল্লাসি সিবিআইয়ের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে বড়সড় তল্লাসি চালাল সিবিআই। দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোল-সহ দশটি জায়গায় তল্লাসি চালাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পঁচাত্তর জন অফিসার তল্লাসি চালাচ্ছেন। কলকাতায় আরও পাঁচটি দল রয়েছে সিবিআইয়ের। বিনয় মিশ্র এবং অনুপ মাজি ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বাড়িতে একযোগে তল্লাসি চালাচ্ছে সিবিআই। এর আগেও কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাসি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।
এর আগে ১১ জানুয়ারি কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে অভিযান চালায় ইডি। ১২টিরও বেশি জায়গায় একযোগে তল্লাসি-অভিযান করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিশাল দল। কলকাতার একাধিক জায়গায় আজ সকাল থেকেই এই অভিযান শুরু হয়ে যায়। বড়বাজারে সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতে হানা।
এ ছাড়াও লেকটাউন, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাসি হয়। বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে গণেশ বাগাড়িয়ার বাড়িতেও এদিন হানা দেয় ইডি। যদিও তাঁর ফ্ল্যাট তালাবন্ধ। কারোর দেখা মেলেনি সেখানে। কবে, কোথায় গেছেন বাড়ির লোকজন, প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন ইডি অফিসাররা। এ ছাড়াও আরও অনেকেরই বাড়িতে তল্লাসি চলছে। সিবিআইয়ের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান বলে খবর ইডি সূত্রে।
হুগলির কোন্নগরের কানাইপুর শাস্ত্রীনগর এলাকায় ব্যবসায়ী অমিত সিং ও নিরজ সিং এর বাড়িতে অভিযান করে ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সকালে ইডির টিম হানা দেয়। গত ৩১ ডিসেম্বর এই দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতেই সিবিআই হানা দিয়েছিল। মূলত কয়লা পাচার কাণ্ডে এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে লালার ঘনিষ্ঠতার কথা সামনে এসেছে। এরপরই অভিযান চালায় সিবিআই এবং এবার হানা ইডিরও। উল্লেখ্য, এখনও মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ পায়নি সিবিআই। তবে এ বার কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের হদিশ পেতে কোমর বেঁধে নামল ইডিও।