Anubrata Mondal: কলকাতার নামী বই প্রকাশনা সংস্থায় খাটত কেষ্টর টাকা, আয়করকে জানাল সিবিআই

ফের বোলপুরে সিবিআই আধিকারিকরা। রেজিস্ট্রি অফিস-সহ শহরের একাধিক জায়গায় চলল তল্লাশি অভিযান। বন্ধ রাখা হল অজয় নদের উপরে সেতুতে টোলপ্লাজা।

Updated By: Aug 23, 2022, 06:28 PM IST
Anubrata Mondal:  কলকাতার নামী বই প্রকাশনা সংস্থায় খাটত কেষ্টর টাকা, আয়করকে জানাল সিবিআই

প্রসেনজিৎ মালাকার: গোরুপাচারকাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। কলকাতার একটি নামী প্রকাশনী সংস্থা সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন চলত তাঁর? আয়কর দফতরের কাছে আয় ব্যয়ের হিসেব জানতে চাইল সিবিআই। কত কোটি টাকার মালিক কেষ্ট? বেনামে কোথায় সম্পত্তি? বোলপুরজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালালেন তদন্তকারীরা। বাদ গেল না রেজিস্ট্রি অফিসও! কেন? সূত্রের খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ট বিদ্যুৎ গায়েনের সম্পত্তি সন্ধানে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনকী, বন্ধ রাখা হল অজয় নদের উপর সেতুর টোল প্লাজাও।

হাতে আর বেশি সময় নেই। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় সিবিআইয়ের হেফাজতে মেয়াদ শেষ হবে অনুব্রতের। সেদিনই গোরুপাচারকাণ্ডে ফের আসানসোলের আদালতে পেশ করা হবে কেষ্টকে। এদিন ফের বোলপুরে গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালালেন তদন্তকারীরা। অনুব্রতকে জেরা করার আগে আরও বেশ তথ্য ও নথি তাঁরা হাতে পেতে চান বলে সূত্রের খবর।

বোলপুরে শহরের পূ্র্ব পল্লী এলাকায় একটি গেস্ট হাউসে অস্থায়ী ক্য়াম্প করেছে সিবিআই। এদিন সকালে সেই ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে নেতাজি মার্কেট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যান তদন্তকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে চলে তল্লাশি। সিবিআই সূত্রের খবর, গোরু পাচারকাণ্ডে তদন্তে বিদ্যুৎ গায়েন নামে এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠের সন্ধান মিলেছে। কেন এই বিদ্যুৎ গায়েন? ২০০৮-০৯ সালে বোলপুর পুরসভায় অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি পান তিনি। পরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি মালিক হয়ে ওঠেন তিনি। 

কীভাবে? ২০০৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কত সম্পত্তি নথিভুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের নামে? সেই তথ্য সংগ্রহ করতে রেজিস্ট্রি অফিসে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। একটির নাম ভোলে বোম, আর একটি শিবশম্ভু। বোলপুরের বেনামে দুটি রাইসমিলও লিজ নিয়েছিলেন অনুব্রত! দুটি রাইসমিলেই ইতিমধ্যেই তল্লাশি হয়েছে। রেজিস্ট্রি অফিসে সে বিষয়ে তদন্তকারীর খোঁজ খবর নেন বলে বলে সূত্রের খবর। 

এর আগে, সোমবারও বোলপুর তল্লাশি অভিযান চলে সিবিআইয়ের। কোথায়?  শাওনধারা আবাসনে। এই আবাসনেই অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। একটি বিএইচকে, আর অন্যটি থ্রি বিএইচকে। শুধু তাই নয়, অনুব্রত যে দুটি গাড়ি ব্য়বহার করতেন, লালবাতি বিতর্কে আগে সেই গাড়ি দুটি এই আবাসনে রাখা হত বলে জানিয়েছেন আবাসনের কর্মীরা।

আরও পড়ুন: Purulia Cow Smuggling: পুরুলিয়ায় দুর্ঘটনায় দুধের কন্টেনার, উদ্ধার গোরু! পাচারের পথ?

বোলপুরের শহরের বাইপাস লাগোয়া শাওনধারা আবাসন। সোমবার যখন ওই আবাসনে যান সিবিআই আধিকারিকরা, তখন তাঁদের সঙ্গে এক মহিলা ব্য়াঙ্ক কর্মী। সায়গলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলায় এখন সিবিআই হেফাজতে সায়গল। তাঁকে জেরা করে প্রচুর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই তথ্যগুলি এবার স্ত্রী বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.