Baruipur: চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করতেই প্রেমিকার মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে পালাল প্রেমিক
শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর শাসনে একটি বাড়ি ভাড়া করে প্রসেনের সঙ্গে থাকতে শুরু করে সোনালী
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামী-শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘরসংসার। তারপরেও প্রেমিকের সঙ্গে থাকা হল না। হাসপাতালে মৃত্যু হল কুলতুলির(Kultali) তরুণীর। তবে তার থেকেও বড় ঘটনা হল, হাসপাতালে তার মৃত্যুর পরই সেখান থেকে উধাও হয়ে গেল প্রেমিক।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতুলির বাসিন্দা সোনালী নস্করের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় শাসনের তরুণ প্রসেন মণ্ডলের। সেই আলাপ ক্রমে প্রেমের সম্পর্কে গিয়ে দাঁড়ায়। এদিকে, রাজ্য পুলিসের এক কর্মীর সঙ্গে সোনালীর বিয়ে দিয়ে দেয় তার বাড়ির লোকজন। এদিকে, প্রেমের টানে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ব্যারাকপুরের শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সোনালি। এনিয়ে থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন সোনালীর স্বামী।
আরও পড়ুন-চলন্ত ট্রেনের মহিলা কামরায় 'শ্লীলতাহানি', ফেসবুক লাইভে অভিযুক্তের পর্দা ফাঁস
অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর শাসনে একটি বাড়ি ভাড়া করে প্রসেনের সঙ্গে থাকতে শুরু করে সোনালী। তার পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যেয় সোনালীকে বারুইপুর জেলা হাসপাতালে(Baruipur SD Hospital) নিয়ে আসে প্রসেন ও তার পরিবার। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে, হাসপাতালের চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করতেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় তারা। তার পর থেকে আর খোঁজ নেই তাদের।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে সোনালির পরিবারের লোকজন। তারা প্রসেনের নামে খুনের অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, গত কয়েকমাস ধরে ফোন করলেও সোনালীকে ফোন দিত না প্রসেন। হাসপাতালে এরকম একটা ঘচনা ঘটে যাওয়ার পরও তাদের কেউ আমাদের সামনে আসেনি। সোনালীর বাবার অভিযোগ, মেয়ে কীভাবে মারা গিয়েছে জানি না। শুনেছি গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছে। তবে আমার মনে হয় এটা পরিকল্পিতভাবে খুন।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিস। মৃতদেহটি আজ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।