বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত বীরভূম, ব্যাপক বোমাবাজি, অবাধে চলল ভাঙচুর
সমস্ত ঘটনাকে মিথ্যা ও সাজানো ঘটনা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোমা অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমে ফের ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির শাসকদলের দিকে। অভিযোগ, শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহুলা গ্রামে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। বোমাবাজি করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি বিজেপি পার্টি অফিসের সামনেও বোমাবাজি করা হয়। বিজেপির দলীয় পতাকা রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এলাকায় বিজেপি করা যাবে না বলে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকেই উত্তপ্ত মহুলা গ্রাম। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে শান্তিনিকেতন থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।
অন্যদিকে বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মেটে গ্রামেও ৩ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের দাবি, পুরোটাই সাজানো ঘটনা। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, রবিবার রাত্রে তৃণমূলের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মী তাঁদের গ্রামে এসে তাণ্ডব চালায়। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। লুঠপাট করা হয় ঘরবাড়ি। তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের।
যদিও এই সমস্ত ঘটনাকে মিথ্যা ও সাজানো ঘটনা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোমা অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদি। তিনি বলেন, "বিজেপির কোনও সংগঠন নেই ওই গ্রামে। সে কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার জন্য এবং মানুষের কাছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কারণে নিজেরাই ভাঙচুর করেছে। এখন অপপ্রচার করছে তৃণমূলের নামে। ওই বিজেপি কর্মীরা গাছ চুরির সাথে জড়িত। গাছ চুরি করতে গিয়েই নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে তাঁদের।"
আরও পড়ুন, বারান্দায় পড়ে দেহ, বাবাকে খুন করে ঘরে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে ছেলে!