Uluberia Newborn: পুরসভার ভাগাড়ে সদ্যোজাতের দেহ, মৃত ভ্রুণ! চাঞ্চল্য উলুবেড়িয়ায়
নার্সিংহোমগুলিতেই কি চলছে বেআইনি কাজ? আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান।
শুভাশিষ মণ্ডল: একটা কিংবা দুটো নয়, ১৮টা! পুরসভার ভাগাড়ে পাওয়া গেল সদ্য়োজাতদের দেহ ও মৃত ভ্রুণ! ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়।
এদেশে খাতায়-কলমে ভ্রুণহত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনকী, ২৪ সপ্তাহ পর আদালতের অনুমতি ছাড়া গর্ভপাতও করা যায় না। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানছে কে? উলুবেড়িয়ায় নার্সিংহোমগুলিতেই কি চলছে বেআইনি কাজ? ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বানিতবলা এলাকা। এদিন সকালে সেখানে পুরসভার ভাগাড়ে সদ্য়োজাতদের দেহ ও মৃত ভ্রুণ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক'টা? ১৮টি! ঘটনাটি জানাজানি হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। মৃতদেহ ও ভ্রুণগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিস।`
পুরসভার ভাগাড়ে কীভাবে এল সদ্যোজাতদের দেহ আর ভ্রুণ? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উলুবেড়িয়ায় কার্যত ব্যাঙের ছাতার মতো গড়িয়ে উঠেছে নার্সিংহোমে। ওই সব নার্সিংহোমের পদার্থও জমা হয় পুরসভার ভাগাড়েই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, নার্সিংহোম থেকেই সদ্যোজাত দেহ ও মৃত ভ্রুণ এসেছে ভাগাড়ে! উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান এনামূর রহমান জানিয়েছে, যেসব নার্সিংহোমে ভ্রুণহত্য়ার মতো বেআইন কাজ চলছে, সেইসব নার্সিংহোমগুলিতে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, উলুবেড়িয়ার সমস্ত নার্সিংহোমে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবে পুরসভা।
আরও পড়ুন: Student Credit Card: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে মেলেনি লোন! অভাবে-অবসাদে বিষ পান, সংকটে নার্সিং পড়ুয়া
এদিকে মাস খানেক আগে হাওড়ায় লোকাল ট্রেনের সিটের নিচ থেকে উদ্ধার হয় সদ্যোজাত। কীভাবে? সেদিন দুপুর বর্ধমান থেকে হাওড়ায় এসে পৌঁছয় ওই লোকাল ট্রেনটি। এরপর ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বামুনগাছি কারশেডে। ট্রেনের কামরায় যখন সাফাইয়ের কাজ করছিলেন রেলকর্মীরা, তখনই সিটের নিচে সদ্যোজাত কন্য়াসন্তানকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় আরপিএফ ও রেলের চাইল্ড লাইনে। শিশুটিকে ভর্তি করা হয় হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা এতটাই সংকটজনক ছিল যে, অক্সিজেন দিতে হয় তাঁকে।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে ৩৫ সপ্তাহের ভ্রুণের গর্ভপাতের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। যা গোটা দেশে প্রথম। কেন? জানা গিয়েছে, বিয়ের পর দীর্ঘদিন নিঃসন্তান ছিলেন এক দম্পতি। শেষপর্যন্ত যখন প্রথম সন্তান আসে, তখন গর্ভস্থ ভ্রুণের স্পাইনাল কর্ডে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়ে। কলকাতার এক নামকরা চিকিৎসক জানান, সুস্থ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং শিশুটি কোনদিনই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে না। এরপরই গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতির।
আরও পড়ুন: Malda Molestation : মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ, রাস্তাতেই খুনের চেষ্টা বাবাকে!
এদিকে তখন গর্ভাবস্থার ৩৫ সপ্তাহে ছিলেন ওই মহিলা। নিয়মামাফিক গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করা হাইকোর্টে। এসএসকেএম-র চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন রাজাশেখর মান্তা। গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। শেষপর্যন্ত তৃতীয় শুনানিতে ৩৫ সপ্তাহের ভ্রুণের গর্ভপাতের অনুমতি দেয় আদালত।