Sukanta Mazumder: 'রাজ্যকে JMB, আল কায়দার হাতে তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী'
বিক্ষোভ-অবরোধে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার উলুবেড়িয়া। সকাল থেকে অবরোধ চলল কলকাতার পার্ক সার্কাসেও।
মনোজ মণ্ডল: মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য জের। বিক্ষোভ-অবরোধ উত্তাল হাওড়া। উত্তপ্ত কলকাতার পার্ক সার্কাসও। 'রাজ্যটাকে জেএমবি, আল কায়দার হাতে তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী', দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
গতকাল বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডোমজুড়ে দীর্ঘ সময়ে ধরে পথ অবরোধ করে রেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সঙ্গে রাস্তায় টাওয়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। ছবিটা বদলাল না এদিনও। উল্টে বিক্ষোভে আঁচ পৌঁছে গেল কলকাতায়ও।
আরও পড়ুন: Ketugram: কেতুগ্রাম কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, পুলিসের জালে মূল অভিযুক্তের ভাই
এদিন সকাল থেকে পার্ক সার্কাস, এমনকী পোর্টের কাচ্চি রোডও অবরোধ করা হয়। সেভেন পয়েন্ট ক্রসিংয়ে জমায়েত কারণে যানজট সৃষ্টি হয় আশেপাশের রাস্তাগুলিতে। অফিসে টাইমে চরমে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শুধু তাই নয়, বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে।
বিক্ষোভ-অবরোধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার উলুবেড়িয়া। অভিযোগ, উলুবেড়িয়ার বানিতবলা চেকপোস্টে এলাকায় পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিস গাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বাদ যায়নি মহকুমাশাসকের কার্যালয় ও পুলিসের কিয়স্কও।
এদিন দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, 'ধর্মীয় কিছু উন্মাদ রাস্তায় নেমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করার চেষ্টা করছেন। পুলিস-প্রশাসন ও রাজ্য সরকার হাতে হাত দিয়ে বসে আছে। এত অপদার্থ সরকার, পশ্চিমবঙ্গ আগে দেখেনি। দুশোর উপরে যাদের আসন, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কিছু ধর্মীয় উন্মাদকে হাতজোড় করে বলছেন, আপনার এরকম করবেন না'।