'বাংলা দখলই লক্ষ্য' ন্যাড়া হয়ে যজ্ঞ করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ
পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে ত্রিশুল রাখার আবেদনও জানান বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু যুব মোর্চার কর্মীদের হাতে ত্রিশূল কেন? শুরু হয়েছে বিতর্ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'তৃণমূলে থেকে পাপ করেছেন' তাই ন্যাড়া হয়ে যজ্ঞ করলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর সঙ্গে ন্যাড়া হয়েছেন কয়েকজন অনুগামীও। প্রত্যেকেরই পরনে ছিল গেরুয়া বসন। যজ্ঞের পর যুব মোর্চার কর্মীদের হাতে ত্রিশূল তুলে দেন বিজেপি সাংসদ। বাঁকুড়ার ডিহরে ষাড়েশ্বরের মন্দিরে যজ্ঞ করে তিনি ঘোষণা করেন আত্মরক্ষার অস্ত্র হিসাবে রাজ্যে যুব মোর্চার ৯০ হাজার কর্মীকে দেওয়া হবে ত্রিশুল।
পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে ত্রিশুল রাখার আবেদনও জানান বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কিন্তু যুব মোর্চার কর্মীদের হাতে ত্রিশূল কেন?
আরও পড়ুন: কংক্রিটের জঙ্গল তৈরি করা যাবে না, বিশ্বভারতীর ভিসির বাড়ির সামনে তুমুল বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
এই প্রশ্নে সৌমিত্রর জবাব, দেশের জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়ে খুন হতে হচ্ছে নাগরিককে। তাই আত্মরক্ষার জন্য এরাজ্যের বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যদের ত্রিশুল দেওযার পরিকল্পনা।বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রচারে থেকেছেন সৌমিত্র। তবে এবার মাথা ন্যাড়া হয়ে যজ্ঞ করে ত্রিশূল বিতরণে বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে শতরূপ ঘোষের মন্তব্য, ত্রিশূল বিলি করে নিজে বিজেপিতে থাকবেন তো?"কিছুদিন আগে কংগ্রেস তারপর তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে এসেছে। এতদিন তৃণমূল বেকার যুবকদের হাতে বেআইনি অস্ত্র, মদের বোতল তুলে দিয়েছেন, এবার বিজেপি বলছে ত্রিশূল দিচ্ছে আত্মরক্ষায়। এ প্রসঙ্গে শতরূপ আরও বলেন, "আমরা বাংলার যুবকদের হাতে এমপ্লয়মেন্ট লেটার তুলে দিতে চাই। বাকি সিদ্ধান্ত বাংলার যুবকরদের।"