বাংলা দখলে পাহাড় থেকে সমতলে ছুটবে মোদী ব্রিগেডের রথ!
বস্তুত উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের সাফল্যের পর এবার বাংলায় রথ রাজনীতি শুরু করতে চায় ‘মোদী ব্রিগেড’।
অঞ্জন রায়
লক্ষ্য ২০১৯ লোকসভা ভোট। ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রিগেড সমাবেশের আগে রাজ্য ঘুরবে বিজেপির রথ। নভেম্বরের শেষদিক থেকে রথগুলি যাত্রা শুরু করবে। ৩৪দিন ধরে রাজ্যের প্রতিটি কোণা ছুঁয়ে যাবে কয়েকটি রথ। মূলত তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা ও মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরাই এই রথযাত্রার লক্ষ্য।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণার অব্যবহিত পরেই পাল্টা ব্রিগেডের ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ২০১৯ সালে নেতাজি জন্মজয়ন্তীর দিন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এর আগে রাজ্যে গৈরিকিকরণের লক্ষ্যে ‘অশ্বমেধের’ রথ ছোটাবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: স্কুল ব্যাগে কিছু একটা লুকোচ্ছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি, শিক্ষিকার জেরার মুখে ফাঁস হল পরিবারের ঘৃণ্য সত্য
মনে করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে হিন্দুত্ববাদী প্রচারের পালে হাওয়া আনতেই বিজেপি-র এই রথযাত্রার পরিকল্পনা।
বস্তুত উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের সাফল্যের পর এবার বাংলায় রথ রাজনীতি শুরু করতে চায় ‘মোদী ব্রিগেড’। অতীতে এই পথ দেখিয়েছিলেন গেরুয়া রাজনীতির লৌহপুরুষ লালকৃষ্ণ আডবানি। দেশজুড়ে রথযাত্রার সাফল্য সামনে রেখে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই সাফল্যের ইতিহাস সামনে রেখেই এগোচ্ছে মোদী-শাহ জুটিও। বাংলার পাহাড় থেকে সমুদ্র মোট চারটি রথ ছুটবে। নেতৃত্ব দেবেন শীর্ষ নেতারা। এবার একনজরে দেখে নিন রথের রুট-
-উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ ও রাঢ়বঙ্গ থেকে রথগুলি বের হবে।
-উত্তরবঙ্গ থেকে আসা রথ যাত্রা শুরু হবে কোচবিহার থেকে।
-আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদা, নদিয়া, বারাসত থেকে ব্রিগেড পৌছবে।
-আরেকটি রথ বেরোবে বীরভূম থেকে। বর্ধমান,বাঁকুড়া,আসানসোল, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর ও হাওড়া হয়ে রথ পৌঁছবে ব্রিগেডে।
-আরেকটি রথ বেরোবে দক্ষিণের গঙ্গাসাগর থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বসিরহাট থেকে হাওড়া, হুগলি হয়ে ব্রিগেড পৌঁছবে।
আরও পড়ুন: বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন? নিজ মুখেই জানালেন সৌরভ
এছাড়াও ছোট ছোট কয়েকটি রথ বের হবে। যেগুলি মূলত দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্সিয়াং, সুন্দরবন ও গোসাবা এলাকায় ঘুরবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর এই রুটই চূড়ান্ত হয়েছে। বুধবার এনিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসবেন দিলীপ ঘোষ।
কিন্তু, আডবাণী যখন রাজনৈতিক জীবনের মধ্য গগণে রথ ছুটিয়েছিলেন, সে সময় তাঁকে রুখে দিয়েছিলেন জয়প্রকাশ নারায়নের ভাবশিষ্য তথা তরুণতুর্কি লালুপ্রসাদ যাদব। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে কি বাংলার অগ্নিকন্যাও রুখতে দিতে পারবেন মোদী-শাহর বিজয় রথ!