Big Breaking: বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন Suvendu Adhikari, শনিবারই BJP-তে যোগদান!
ইস্তফা পত্রটি ই-মেল করা হয়েছে স্পিকারের কাছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধানসভার মূল ফটক ছাড়েন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিয়ে জল্পনার অবসান। বিধানসভায় ঢুকলেন শুভেন্দু, বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। বিধানসভার স্পিকার বেরিয়ে গিয়েছেন তবে তাতে ইস্তফা আটকায়নি। বিধানসভার সচিবের কাছেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, ইস্তফা প্রক্রিয়া চলে সাত থেকে আট মিনিটের মত। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বেরিয়ে যান। বিধানসভার সচিবের কাছে গিয়ে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্রটি জমা দেন। ইস্তফা পত্রটি ই-মেল করা হয়েছে স্পিকারের কাছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধানসভার মূল ফটক ছাড়েন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টার হাতেই এসে পৌঁছে গিয়েছে ইস্তফা পত্র।
এবার তৃণমূলের মহাসচিবের কাছে গিয়ে তিনি দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেবেন মনেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যেই তাঁর গাড়ি বেরিয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, জানা যাচ্ছে আগামীকালই দিল্লিতে যাবেন তিনি। শনিবার বিজেপিতে যোগদান করবেন। এরপর অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যে ফিরবেন তিনি। যদিও আজও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি শুভেন্দু অধিকারী। বরং বিধানসভার লবিতে দাঁড়িয়ে নিজের ইস্তফা পত্র তুলে সকলকেই দেখালেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা চলছিলই। একের পর এক পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। আজ বুধবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত যোগ শেষ করা সময়ের অপেক্ষা।
Big Breaking: বিধানসভায় Suvendu Adhikari, বিধায়ক পদে ইস্তফা#firstonzee24ghanta #EXCLUSIVE #SuvenduAdhikari pic.twitter.com/1OYSBmrzPF
— zee24ghanta (@Zee24Ghanta) December 16, 2020
গতকালই ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর মেলে, আর জল্পনা নয় শেষপর্যন্ত বিজেপিতেই যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী! জানা দিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর দিল্লিতে যাচ্ছেন তিনি। এরপর শনিবার নিজের গড়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন শুভেন্দু।
মঙ্গলবার হলদিয়ায় স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তের জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি অরাজনৈতিক সভা যোগ দেন শুভেন্দু। সেই সভা থেকে কার্যত 'ভোটের লড়াই'-এর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, 'আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ পছন্দ করি না। যাঁরা পদে আছেন, তাঁদের অনেকেই আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। সাধারণ মানুষের আঙুলটা এমন জায়গায় পড়বে যে, অনিল বসু, লক্ষণ শেঠদের মতো অবস্থা হবে।'
শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, 'নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির আন্দোলন ছিল না। মানুষের আন্দোলন ছিল। সেই আন্দোলনে জয়ী হয়েছেন মানুষই।' রাজ্যের 'গণতন্ত্র ফেরানো'র ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছি। তাও আমার সভায় মানুষের সভায় আসেন। এই যে এত মানুষ এসেছেন, তাঁদের কংগ্রেস, সিপিএম বা বিজেপি আনেনি। মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এত সহজে ভাঙা যাবে না।'