ধর্মঘটে মালদহের সুজাপুরে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন কনস্টেবলরা, স্বীকার করল পুলিস
উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের কায়দায় চলছে বাংলার উর্দিধারীরা, অভিযোগ সিপিএম-কংগ্রেসের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্মঘটের দিন মালদার সুজাপুরে চাঞ্চল্যকর ছবি। ভাইরাল ভিডিওয়ে দেখা গেল, মালদহের সুজাপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে পুলিসই ভাঙচুর চালাচ্ছে। বন্দুকের বাঁটে, ঢিলে, ভাঙা হচ্ছে গাড়ির কাঁচ। গোটা ঘটনায় সরকারে দিকে একযোগে আঙুল তুলেছে সিপিএম-কংগ্রেস। ভিডিয়োটির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে মালদহের পুলিস সুপার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।
সুজাপুরে পুলিসের ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিএম-কংগ্রেসের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের কায়দায় চলছে বাংলার উর্দিধারীরা। ধর্মঘটীদের ওপর দোষ চাপাতে পুলিসই ভাঙছে গাড়ি। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই
অভিযোগ মানতে না চাইলেও পুলিসই যে গাড়ি ভেঙেছে তা মেনে নিয়েছেন খোদ পুলিস সুপার। অলোক রাজোরিয়া বলেন,''কয়েকজন কনস্টেবল ভাঙচুর করেছে। দোষী পুলিসকর্মীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''
ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে বিজেপিও। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার কথায়,''পুলিস যদি এমন কাজ করে তবে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে।''
ধর্মঘট কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের সুজাপুর। ১০টা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাম-কংগ্রেস কর্মীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলতে নামে পুলিসের বিশাল বাহিনী।
আগেই এনআরসি, সিএএ নিয়ে ক্ষোভ ছিল এলাকায়। তার রেশ পড়ে এদিন ধর্মঘটে। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকেন ধর্মঘটীরা। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিস, শূন্য গুলিও চালানো হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের ২টি গাড়ি।
আরও পড়ুন- 'বাসে বোম মারা সস্তার পাবলিসিটি, এর থেকে কেরল CPIM ভালো', বনধের নিন্দায় সরব মমতা