Bhangar I: বোনের জন্য ছেলে দেখতে গিয়ে অচেনা এলাকায় বেধড়ক মার খেলেন দাদা! অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে...

Bhangar Lynching Case: আবারও শিরোনামে ভাঙড়। চোর সন্দেহে গণপিটুনির পর এবার ছেলেধরা সন্দেহে পিটুনির অভিযোগ এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ভাইরাল হয় এ সংক্রান্ত এক ভিডিয়ো। তবে, সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি 'জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো'।

Updated By: Jul 10, 2024, 11:36 PM IST
Bhangar I: বোনের জন্য ছেলে দেখতে গিয়ে অচেনা এলাকায় বেধড়ক মার খেলেন দাদা! অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে...

প্রসেনজিৎ সরদার: আবারও শিরোনামে ভাঙড়। চোর সন্দেহে গণপিটুনির পরে এবার ছেলেধরা সন্দেহে পিটুনির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ভাইরাল হয় এ সংক্রান্ত এক ভিডিয়োও। তবে, সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি 'জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো'। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ভাঙড় ১ নম্বরে ২৫৯ বুথের সহ-সভাপতি তৃণমূল নেতা শেখ হাবিব ছেলেধরা সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে মারধর করছেন।

আরও পড়ুন: Supreme Court On Homemakers' Rights: স্বামীর টাকায় প্রভূত অধিকার স্ত্রীর! 'হোমমেকার'দের নিয়ে কী যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের?

ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের পেরানগঞ্জ অঞ্চলের সিআইটি এলাকায়। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বানিয়ারা এলাকার এক ব্যক্তি, নাম মহিবুল মোল্লা, তাঁর বোনের বিয়ের জন্য ঘোষপুর এলাকার এক ঘটকের সঙ্গে ওই সংক্রান্ত কাজে গিয়েছিলেন ওই এলাকায়। সেই সময়ে ওই এলাকার একটি ক্লাবের সামনে এক গাছের তলায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় এলাকার কিছু মানুষ এই দুজনকে দেখে ছেলে ধরা সন্দেহে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এরপর ওই এলাকার তৃণমূলের বুথের সেক্রেটারি শেখ হাবিব (পলাশ)-সহ বেশ কয়েকজন এসে তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আহত মহিবুল মোল্লার ভাই সাইদুর রহমান মোল্লা। এরপর তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত ভাঙড় থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গণপিটুনি ইদানীং যেন একটা সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কদিন আগেই খোদ কলকাতায় ঘটল এরকম এক ঘটনা। ছেলে-ধরা সন্দেহে গণপিটুনি শিকার হলেন ৩ জন। ঘটনা ঘটেছিল বিধান নগর পৌরনিগম ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সরদারপাড়া এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হয় ওই তিনজনকে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস।

আরও পড়ুন: ISRO on Ram Setu: অবশেষে অলৌকিক রাম সেতুর রহস্য উন্মোচন করলেন 'ইসরো'র বিজ্ঞানীরা! জানা গেল আশ্চর্য তথ্য...

জানা গিয়েছিল, চন্দন সর্দার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দুজন অচেনা ব্যক্তি আচমকা ঢুকে পড়ে। সাত বছরের একটি বাচ্চা ছেলেকে জানলা দিয়ে ডাকে। এর পরেই স্থানীয়দের সন্দেহ হলে দৌড়ে গিয়ে তাদের ধরে ফেলেন তাঁরা। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর পরেই এয়ারপোর্ট থানায় খবর দেওয়া হলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস দুজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.