Gujarat Morbi bridge tragedy: রুটি-রোজগারের তাগিদে গুজরাটে, মোরবি সেতু বিপর্যয় প্রাণ কাড়ল বাংলার যুবকেরও
ব্রিটিশ আমলে তৈরি কেবল সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও বহু জনের কোনও খোঁজ নেই। টানা ৭ মাস ধরে সেতুটির মেরামতির পরেও ভেঙে পড়ল কেবল সেতু!
সঞ্জয় রাজবংশী: গুজরাটে ব্রিজ বিপর্যয় প্রাণ কেড়েছে বাংলার এক যুবকেরও। মচ্ছু নদীতে কেবল সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পূর্বস্থলীর বাসিন্দা হাবিবুল শেখ নামে ওই যুবকের। অন্যদের সঙ্গে হাবিবুলও ছটপুজো দেখতে মোরবি গিয়েছিল। কেবল সেতু ভেঙে পড়তেই বিপর্যয়ের বলি হয় সে-ও। পূর্বস্থলীর মহাদেবপুর গ্রামের ছেলে হাবিবুল কাজের সূত্রেই গুজরাটে থাকত। গুজরাটে সোনার কাজ করত সে। বিপর্যয়ের পর গ্রামের বাড়িতে দুঃসংবাদ এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার পরিজনরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবিতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি কেবল সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও বহু জনের কোনও খোঁজ নেই। বিভিন্ন উদ্ধারকারী দলগুলি এখনও বোট নিয়ে নিখোঁজ মানুষদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঝুলন্ত সেতুর যখন তার ছিঁড়ে যায়, তখন নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন সেতুর উপরে। সেতু ভেঙে তাঁরাও নদীতে পড়ে যান। সেতু ভেঙে যাওয়ার পরে মানুষ একে অপরের উপরে পড়ে যায়। ভিডিয়োতে অনেককে মরিয়া হয়ে সেতুর বেঁচে থাকা অংশ আঁকড়ে থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি দেখা যায় কিছু মানুষ সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠারও চেষ্টা করছেন।
আমেদাবাদ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ১৫০ বছরের পুরনো এই ব্রিজ। টানা ৭ মাস ধরে সেতুটির মেরামতি হয়েছে। তারপরেও কীভাবে সেতুটি ভেঙে পড়ল, তা বুঝতে পারছে না প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। ৫ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ব্রিজটি ভেঙে পরার কারণের তদন্ত করছে। অন্যদিকে অভিযোগ, মেরামতির পর নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই মানুষ চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, শতাব্দী প্রাচীন সেতুটির সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার আগে সুরক্ষা শংসাপত্রও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন, Morbi Bridge Collapse: মন পরে আছে মোরবিতে, গুজরাটের দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর
সেতু খোলার ৫ দিনের মাথায় কীভাবে ভেঙে পড়ল সেতু? সেতু বিপর্যয়ের দায় কার? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গুজরাট সরকার নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের ৪ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গত, এখন গুজরাটেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।