বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, জোর করে গর্ভপাতও! গ্রেফতার 'কীর্তিমান' প্রেমিক
'যখনই বিয়ের কথা বলতাম এড়িয়ে যেত। একাধিকবার গর্ভপাত করতে বাধ্য করে। পরে যখন বিয়ের জন্য চাপ দিই, তখন দেখানোর জন রেজিষ্ট্রি ফর্মে সইও করে।'
বিধান সরকার: এক মহিলার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়ের পর বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসের অভিযোগ। সহবাসের ফলে ওই মহিলা গর্ভবতীও হয়ে পড়েন। জোর করে করানো হয় গর্ভপাত। এই অভিযোগে বাঁকুড়ার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযোগ, আদতে বাঁকুড়ার বাসিন্দা ওই যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাদের উত্তরপাড়ার ফ্ল্যাটে সহবাস করে।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী হাওড়ার বালির বাসিন্দা। বছর বত্রিশের বিবাহ বিচ্ছিন্না ওই মহিলার দুই সন্তানও আছে। তাঁর অভিযোগ, গত বছর ফেসবুকে তাঁর আলাপ হয় বাঁকুড়ার ঘটকপাড়ার বাসিন্দা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই যুবকের সঙ্গে। আলাপ পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। দুজনে বিয়ে করবেন ঠিক করেন। এরপরই গতবছর অগাস্ট মাসে উত্তরপাড়ার ভদ্রকালীর পানপাড়ায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তাঁরা। সেই ফ্ল্যাটেই দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন ওই মহিলা। অভিযুক্ত মানস বন্দ্যোপাধ্য়ায় মাঝে মধ্যেই ওই ফ্ল্যাটে আসতেন।
মহিলার অভিযোগ, মানসের পরিবারও বাঁকুড়া থেকে উত্তরপাড়া এসেছেন। তাঁদের উপস্থিতিতে বিয়ের কথা হয়েছে। এমনকি ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে ফর্মও তোলেন তাঁরা। কিন্তু তারপর থেকেই অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করেন তাঁর প্রেমিক। এদিকে সহবাসের ফলে বেশ কয়েকবার গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। জোর করে তখন তাঁর গর্ভপাতও করানো হয়। এরপর গত ৪ মে সকালে মানসের পরিবার উত্তরপাড়ায় আসেন। সেদিন তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এমনকি গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও পর্যন্ত করা হয়।
সেদিনই দুজনের সম্পর্কের ইতি হয়। এরপর ওই মহিলা উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর। এরপর ২০ মে শ্রীরামপুর ডিসির সাহায্যে শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। মানস ছাড়াও তাঁর গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বাঁকুড়া থেকে অভিযুক্ত মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দাদা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কেগ্রেফতার করে পুলিস।
নির্যাতিতা মহিলা বলেন, 'যখনই বিয়ের কথা বলতাম এড়িয়ে যেত। একাধিকবার গর্ভপাত করতে বাধ্য করে। পরে যখন বিয়ের জন্য চাপ দিই, তখন লোক দেখানোর জন্য রেজিষ্ট্রি ফর্মে সইও করে। এরপর একদিন ওর মা, বাবা, দাদা, বৌদি, কাকু এসে মারধর করল। মানসকে নিয়ে চলে গেল। তারপর থেকে আর ফোনও ধরে না। ধরলেও চিনতে পারে না। একদিন ওর মা ফোনে বলল, ছেলের অন্য জায়গায় বিয়ে দেবে।'
আরও পড়ুন, Malda: টাকা উড়িয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে নর্তকীর সঙ্গে চটুল নাচ! দলবদলু নেতার ভিডিয়ো ভাইরাল
Narendrapur: দিন-রাত ফোনে ব্যস্ত স্ত্রী, তুঙ্গে দাম্পত্য কলহ, বিয়ের ৪ বছরে গৃহবধূর চরম পরিণতি!