West bengal: জঙ্গি সন্দেহে অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবকের রহস্য মৃত্যু
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও কাজে বেরিয়ে যান মৃত যুবকের বান্ধবী অর্পিতা। তারপর রাত আটটা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তিনি ম্যাক্সনকে বহুবার ডেকেও কোনও সাড়া পাননি। তারপর প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অর্পিতা।
রণয় তিওয়ারি: মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানা এলাকার মোতিলাল গুপ্ত রোডে। মৃতের নাম নূর-উন লতিফ নবি ওরফে সারোয়ার ম্যাক্সন। ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিস সূত্রে খবর, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে সংশ্লিষ্ট ভাড়া বাড়িতে অর্পিতা হাজরা নামে এক মহিলার সঙ্গে লিভ-ইনে থাকত ম্যাক্সন। তাঁর বান্ধবী একটি শপিং মলে কাজ করেন।
আরও পড়ুন, North 24 Paragana: স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির প্রলোভন! লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও কাজে বেরিয়ে যান অর্পিতা। তারপর রাত আটটা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তিনি ম্যাক্সনকে বহুবার ডেকেও কোনও সাড়া পাননি। তারপর প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অর্পিতা। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ খবর পেয়ে হরিদেবপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে পুলিস দেখে, গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ম্যাক্সন। তড়িঘড়ি তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সীমান্তের ওপারে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সম্প্রতি ডানলপ থেকে ম্যাক্সনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। ভবানী ভবনের শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছিলেন, তার অপরাধের খুঁটিনাটি তথ্য জানতে বাংলাদেশ পুলিসের সহায়তা নিচ্ছেন তারা। বিশেষ করে র্যাব এবং চট্টগ্রাম পুলিসের সহায়তা নিচ্ছেন কলকাতার আধিকারিকরা। তবে ব্যারাকপুরের আদালতে সিআইডির আইনজীবী জানান, বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামির ছাত্র এবং চট্টগ্রামের ইসলামি ছাত্র শিবিরের সদস্য হল ম্যাক্সন। সে বাংলাদেশের একজন ওয়ান্টেড অপরাধী।
সিআইডি সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় নিউ মার্কেটে অর্পিতা হাজরার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল ম্যাক্সন। তখন সে নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দেয়। এমনকী সে নিজেকে তমাল চৌধুরী বলেও পরিচয় দিয়ে ভুয়ো পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট ব্যবহার করত। তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনের পাশাপাশি, বরানগর থানায় জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চলছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবক। এমনকী সে মাদকাসক্তও ছিল।
আরও পড়ুন, কেন্দ্র টাকা অনুমোদন করতেই আবাস যোজনার সমীক্ষা শুরু রাজ্যে, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ম্যাক্সনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। সে সময় আদালত তাকে প্রথমে ১০ দিনের পুলিস হেফাজত ও তারপরে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে মে মাসে সে জামিনে মুক্তি পেয়েই ফেরার হয়ে যায়।