জগদীশপুরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার পিস্তল-গুলি

এলাকায় কোনো জায়গা জমি বিক্রি করতে গেলে তাকে আগে জানিয়ে বিক্রি করতে হত

Updated By: Jun 24, 2021, 06:48 PM IST
জগদীশপুরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার পিস্তল-গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদন: জগদীশপুরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতেই বেরিয়ে এল তার অন্য একটি দিক। ধৃত বিজেপি নেতা গোবিন্দ হাজরার বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার হল অস্ত্র-গুলি।

গ্রেফতারের পর গোবিন্দ হাজরাকে তিনদিন হেফাজতে নিয়েছিল লিলুয়া থানা পুলিস। তাঁকে জেরা করতেই মিলল অস্ত্রের হদিস। বৃহস্পতিবার, গোবিন্দ হাজরাকে নিয়ে আজ তার বাগানবাড়িতে তল্লাসি চালায় পুলিসে। তখনই সেখান থেকে উদ্ধার হয় পিস্তল, গুলি ও সিসিটিভি ক্যামেরা। এরপরই গোবিন্দ হাজরার বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলা করে পুলিস।

আরও পড়ুন-ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির নায়ক দেবাঞ্জন শাসকদল ঘনিষ্ঠ, ছবি দেখিয়ে দাবি বিজেপি সাংসদের 

উল্লেখ্য, দুধ বিক্রেতা থেকে পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছিলেন গোবিন্দ হাজার। মোট চারবার তিনি ছিল জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।

কিন্তু কিভাবে হল তার উত্থান? জানা গিয়েছে, প্রথম জীবনে দুধ বিক্রি করতেন তিনি। এরপর শুরু করেন জায়গা জমির দালালি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে হয়ে ওঠেন দলের সক্রিয় কর্মী। সেই সময় সিপিএম শক্ত ঘাঁটি ডোমজুর(Domjur) বিধানসভা কেন্দ্রে জোর লড়াই চালিয়ে যান তিনি। হয়ে ওঠেন জগদীশপুর এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। রাজনৈতিক সঙ্ঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

২০০৩ সালে প্রথমবার তিনি জগদীশপুর(Jagadishpur) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন।এরপর আরও তিনবার অর্থাৎ মোট চারবারের প্রধান তিনি। চামরাইলের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ রায় অভিযোগ করেন, প্রধান থাকাকালীন বহু দুর্নীতি করেছেন গোবিন্দ হাজরা। একবার যে কারনে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। পরে অবশ্য আবার ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-আগে উপনির্বাচন করানোর কথা বলুক, পুরভোট সময়মতো ঠিক করে দেব: Mamata

এলাকায় কোনো জায়গা জমি বিক্রি করতে গেলে তাকে আগে জানিয়ে বিক্রি করতে হত। সেখান থেকে মোটা টাকা তাকে দিতে হত। এছাড়া জোর করে জমি ও কারখানা দখল করেছেন এই প্রাক্তন প্রধান। এমনটাই অভিযোগ বহু মানুষের। এলাকায় অনেকে রাহু বলে তাকে ডাকতেন গোবিন্দকে। বলা হয় গোবিন্দ হাজরার রাহুর দৃষ্টি জমি ও কারখানায় পড়লে তা তিনি দখল করে ছাড়তেন। এলাকায় অনেক বহুতল নির্মাণ করেছেন তিনি। বর্তমানে সেগুলোর নাম রাহু ভবন বলে উল্লেখ করে ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.