Arambag: জৈব সার তৈরীর প্রকল্প! বর্জ্য পদার্থের গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
পুরসভার এই পচনশীল বর্জ্য পদার্থ অন্যত্রে ফেলার জন্য বার বার দাবি ও আবেদন করা হলেও তা কেউই কোন কর্ণপাত করেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরামবাগ পুরসভার ৫ নম্বর, ১৯নম্বর ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় আরামবাগ পুরসভার যে পচনশীল বজ্র নিয়ে একটি জৈব সার তৈরীর প্রকল্প শুরু করেছে। সেই বর্জ্যের গন্ধে অতিষ্ঠ ওই এলাকার বাসিন্দারা। পচন শীল বস্তুও বর্জ্যের তীব্র গন্ধে কাহিল এলাকার অগণিত মানুষ।
পুরসভার এই পচনশীল বর্জ্য পদার্থ অন্যত্রে ফেলার জন্য বার বার দাবি ও আবেদন করা হলেও তা কেউই কোন কর্ণপাত করেননি। তাই বাধ্য হয়ে পুরসভার এই গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বহু বাসিন্দা। বিশেষত এই বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার বেশিরভাগ গৃহবধূরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ঘটনা স্থলে আসে আরামবাগ থানার পুলিস। শেষমেশ পুলিসের আশ্বাসে তারা তালা খুলে দেন ও বিক্ষোভ থামিয়ে দেন।
আরামবাগ পুরসভার স্বপ্নের প্রকল্প জৈব সার তৈরি পচনশীল বর্জ্য পদার্থ দিয়ে। সেই প্রকল্পে স্থানীয় মানুষজন উপকৃত হওয়ার কথা ঠিক। কিন্তু ঠিক ততটাই অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তার একমাত্র কারণ হল ওই পচনশীল দ্রব্যর গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। ব্যাপক দুর্গন্ধে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলারাও পড়েছেন বিপাকে। দুর্গন্ধের জেরে তারা বমি করে ফেলছেন। এই দুর্গন্ধ তারা প্রায় এক দেড় বছর ধরে ভুগছেন।বার বার জানিয়েই কোন লাভ হয়নি।
জানা গিয়েছে, আরামবাগের ১৯টি ওয়ার্ডের সমস্ত পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য দ্রব্য এসে জড়ো হয় ৫, ১৪ ও ১৯ ওয়ার্ড সংলগ্ন বেনেপুকুর এলাকায়। এখানেই আরামবাগ পুরসভার এই গোডাউনটি আছে। সেই গোডাউনেই গোটা শহরের পচনশীল ও বর্জ্য পদার্থ নিয়ে এনে জমা করা হয়। পাশাপাশি এলাকায় এই তিনটি ওয়ার্ডের মানুষের বাস। দীর্ঘদিন ধরে এই গন্ধ সহ্য করে আসছেন এই সমস্ত মানুষজন। এই সমস্যার কথা এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে জানিয়েছে কিন্তু কোনও সুরাহা মিলেনি।
এখানকার কাউন্সিলর ও আরামবাগ থানার পুলিস এসে এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করার পরে তারা বিক্ষোভ তুলে নেয়। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় ঘোরুই এই সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে বলেন, পুরসভায় গিয়ে জানাবো যাতে করে এই প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তর করা যায়। শহরের বাইরে কোন ফাঁকা এলাকায় যাতে করা যায় তার প্রস্তাব পাঠাবো আমরা।