Anubrata Mandal: আসানসোল থেকে বেরিয়ে শক্তিগড়ে থামল পুলিসের কনভয়, ব্রেকফাস্টে কী খেলেন অনুব্রত?
Anubrata Mandal: মঙ্গলবার সকালে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন অনুব্রত মন্ডল। এদিন সকাল ৬.৫০ মিনিট নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে। জানা গিয়েছে প্রথমে তাঁকে কলকাতার জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। এরপরে সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে এবং তারপরে ফিট সার্টিফিকেট পেলে দিল্লির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাবেন তিনি
অরূপ লাহা ও বিক্রম দাস: সকাল পৌন সাতটায় অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসানসোল জেল থেকে বেরিয়ে শক্তিগড়ে ব্রেকফাস্ট করার জন্য থামল পুলিস। আজ তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে জোকার ইএআই হাসপাতালে। সেখানে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া গেলে তাকে দিল্লি নিয়ে যাবে পুলিস। সেখানে কী খেলেন অনুব্রত?
আরও পড়ুন-অনুব্রত বের হতেই গোবরজল ছিটিয়ে আসানসোল জেল চত্বর 'শুদ্ধিকরণ', আবীর খেলে উল্লাস বিজেপির
এদিন সকালে যে গম্ভীরভাবে আসানসোলে পুলিসের গাড়িতে উঠেছিলেন সেই একইভাবে শাক্তিগড়ের একটি হোটেলে গাড়ি থেকে নামেন অনুব্রত। মুখে টেনশন, হতাসার চাপ। আটাট পঞ্চাশ মিনিট নাগাদ গাড়ি থেকে নেমেই সোজা হোটেলের টয়লেটে চলে যান। তারপর খাওয়ার টেবিলে চলে আসেন। এর আগে দেখা গিয়েছে কলকাতা যাওয়ার পথে বা কলকাতা থেকে ফিরে যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে নেমে সাধারণত ঝালমুড়ি ও লাল চা খান। আজ তিনি খেলেন ৩টি ডালের কচুরি, ছোলার ডাল, একটি লাংচা ও একটি রাজভোগ। চা খেলেন না। তাঁর পাশের চেয়ারে বসেছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকে একটি কচুরি তুলে দেন। আজ চা খেলেন না।
অনুব্রতর সঙ্গে ছিলেন একজন সবুজ পাঞ্জাবি পরা এক যুবক ও একজন টি শার্ট পরা যুবক। সেই দুজনে সঙ্গে কথা বলেছিলেন অনুব্রত। পাঞ্জাবীপরা যুবক হোটেলের বিল মেটান। বিল হয়েছিল ৯৯৫ টাকা। ওই যুবক দুটো পাঁচশো টাকার নোট দেন। হোটেলের ক্যাশিয়ার ৫ টাকা ফেরত দেন। ওই দুজন অবশ্য অনুব্রতর সঙ্গে কলকাতা গেলেন না। এরা কে তা বোঝা যাচ্ছে না। বোঝা যাচ্ছে না এরা অনুব্রতর কাছে এলেন কীভাবে। তারা কী পুলিসের অনুমতি নিয়েই এসেছিল?
হোটেলেরা মালিক বলেন, এর আগে বহুবার এখানে খেয়েছেন। বেশিরভাগ সময়েই ঝালমুড়ি খান। আজ খেলেন কচুরি, লাংচা ও রাজভোগ। আজ ওর মেজাজ বেশ শান্ত ছিল। চা আজ খাননি।
মঙ্গলবার সকালে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন অনুব্রত মন্ডল। এদিন সকাল ৬.৫০ মিনিট নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে। জানা গিয়েছে প্রথমে তাঁকে কলকাতার জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। এরপরে সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে এবং তারপরে ফিট সার্টিফিকেট পেলে দিল্লির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাবেন তিনি। দিল্লি গিয়ে ফের একদফা তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তারপর তাঁকে পেশ করা হবে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে।