তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী
তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী। বোমা-গুলি নিয়ে সকাল থেকে তাণ্ডব। বাড়িঘর ভাঙচুর। সংঘর্ষে জখম দুপক্ষের প্রায় দশজন। ঘটনায় গ্রেফতার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আফতাব মোল্লা সহ চারজন। থমথমে এলাকায় চলছে পুলিসি টহল।
![তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2017/06/27/88396-tmc-27-6-7.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী। বোমা-গুলি নিয়ে সকাল থেকে তাণ্ডব। বাড়িঘর ভাঙচুর। সংঘর্ষে জখম দুপক্ষের প্রায় দশজন। ঘটনায় গ্রেফতার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আফতাব মোল্লা সহ চারজন। থমথমে এলাকায় চলছে পুলিসি টহল।
সাত সকালে সংঘর্ষ। বাসন্তীর মানুষের কাছে প্রায় রোজকার ঘটনা। মঙ্গলবারও ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের নেবুতলার বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙল বোমার শব্দে।
শুরু হয়েছিল বচসা-মারামারি দিয়ে। তারপর মুড়ি-মুরকির মত পড়ল বোমা। চলল গুলি। সকাল সকাল রণক্ষেত্র বাসন্তীর নেবুতলা গ্রাম। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। এক পক্ষ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি আমানুল্লা লস্করের অনুগামী। অন্যপক্ষ বাসন্তীর তৃণমূল ব্লক সভাপতি আব্দুল মান্নান ওরফে মন্টু গাজির সমর্থক। দুপক্ষে ধুন্ধুমার। বাড়ি বাড়ি ঢুকে তাণ্ডব-ভাঙচুর-হুমকি। প্রায় পুরুষশূণ্য গ্রাম আতঙ্কে সিঁটিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে যায় বাসন্তী থানার পুলিস। পুলিসকে লক্ষ্য করেও বোমা ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যানিংয়ের SDPO-র নেতৃত্বে যায় অতিরিক্ত বাহিনী। যায় RAF. সংঘর্ষের দুপক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা ভর্তি হাসপাতালে। গ্রেফতার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আফতাব মোল্লা সহ কয়েকজন।
ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে ৩০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। আরও বড় বাহিনী নিয়ে এলাকায় যান বারুইপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার। নতুন করে হামলার আশঙ্কায় ত্রস্ত গ্রামে চলছে পুলিসি টহল।