Abhishek Banerjee: ‘বাংলার বকেয়া অর্থে, সেন্ট্রাল ভিস্তা করছে’, বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ অভিষেকের
তিনি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারে একটা বাড়িতে দূর্নীতি হয়েছে বিজেপি দেখাতে পারলে আমি আলিপুরদুয়ার জেলায় আসব না’। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের ঝনঝনানি আর নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। মোদী-অমিত শাহ-সভাপতি যদি বলতে পারে একটা সভা করে পৃথক রাজ্য গড়ব, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। আসলে এই সব পৃথক রাজ্য বলে চিমটি কেটে দেয়’।
প্রবীর চক্রবর্তী: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আপনারা যাদের বিধায়ক করেছিলেন আলিপুরদুয়ারে, তারাই দিল্লিতে চিঠি লিখে বলছেন বাংলার টাকা বন্ধ করতে’।
তিনি আরও বলেন, ‘১০০ দিনের টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আর লক্ষ্মীর ভান্ডার টাকা দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে’।
তিনি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারে একটা বাড়িতে দূর্নীতি হয়েছে বিজেপি দেখাতে পারলে আমি আলিপুরদুয়ার জেলায় আসব না’।
সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ, বিরোধী দলনেতাকে বলব, আমাকে গালাগাল দিন। সকাল শুরু হয় অভিষেক দিয়ে, রাতে শেষ হয় অভিষেককে দিয়ে। আমাকে গালাগাল দিন। কিন্তু বাংলার মানুষের টাকা আটকাবেন না। মানুষের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না’।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal | Saigal Hussain: 'হুজুর জামিন দিয়ে দিন', আদালতে কাকুতি অনুব্রত-সায়গলের
বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের ঝনঝনানি আর নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। মোদী-অমিত শাহ-সভাপতি যদি বলতে পারে একটা সভা করে পৃথক রাজ্য গড়ব, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। আসলে এই সব পৃথক রাজ্য বলে চিমটি কেটে দেয়’।
চা বাগানের সমস্যা সম্পর্কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কোহিনূর চা বাগানের সমস্যা মিটে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে খুলে যাবে। শ্রমিকদের ১০০০ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে। চা বাগানের মজুরি ৬৭ থেকে ২৫০ হয়েছে। আমি বলেছি আরও বাড়াতে হবে। মানুষ খাবে কি? তেল,সবজি, গ্যাস, কেরোসিনের যা দাম। এর জন্য দায়ী বিজেপি’।
তিনি আরও বলেন, ‘এর পরেও আধার-প্যান লিংক করে ১০০০ টাকা নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকার করে পয়সা নেয় না। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করার মানসিকতা আছে৷ আর তোমার ডাবল ইঞ্জিনের চুরি করার মানসিকতা আছে। বাংলার টাকা যেমন গুজরাতে খরচ করে ফেলেছে’।
তৃণমূল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে কেউ খারাপ কাজ করলে তাকে আমরা শাস্তি দিয়েছি। আর তোমরা কি করেছো? যাকে টাকা নিতে দেখা গেছে, তাকে বড় বড় পদ দিয়েছেন। তৃণমূলের আবর্জনাগুলো বিজেপির সম্পদ’।
তিনি আও বলেন, ‘বাংলার বকেয়া অর্থে, সেন্ট্রাল ভিস্তা করছে’।