ডাক্তার তনুশ্রীর কাঁধে গণেশের দায়িত্ব! নাইট আউলের চমক শিলিগুড়িতে

অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে কোষাধ্যক্ষ শঙ্কর দাস জানান, আমাদের বাড়িতে আমরা দেখি মা, কাকিমা অথবা স্ত্রীয়েরাই পুজো করেন। সেক্ষেত্রে বড় পুজোর ক্ষেত্রে যে যে রিতী রয়েছে সেটা ভাঙতে চাইছি। শহরের যে বড় পুজোগুলো হয় সেটা মহিলারাও করতে পারে এবং তাদেরও এই কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। 

Updated By: Sep 1, 2022, 05:13 PM IST
ডাক্তার তনুশ্রীর কাঁধে গণেশের দায়িত্ব! নাইট আউলের চমক শিলিগুড়িতে
নিজস্ব চিত্র

নারায়ণ সিংহরায়: পেশায় ডাক্তার তনুশ্রী কাঁধে নিয়েছেন গণেশের দ্বায়িত্ব। বৃষ্টি খানিকটা বাধা সাজলেও গণেশ চতুর্থীতে মেতেছে শহর। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক পুজো হচ্ছে শিলিগুড়িতে। তার মধ্যে অন্যতম শিলিগুড়ির কলেজ পাড়া অথবা বিধাননগর ব্যাবসায়ী সমতির পুজো।  চাকচিক্য অথবা রঙিন আলোর মধ্যেও এবার নজর কাড়ছে শিলিগুড়ির হাতিমোড়ের নাইট আউল অ্যাসোসিয়েশনের পুজো। প্রথম বছরের পুজোতেই মহিলা পুরোহিত এবং নাসিকের ঢোলে শহরকে মাতানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের কথায় শুরুটা যে খুব একটা পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে তেমনটা নয়। পার্শ্ববর্তী এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক হাতিমোড়ে আড্ডা মারত। এলাকাবাসীরা তাদের মজার ছলে নাম দিয়েছিল নাইট আউল। সেই কয়েকজন যুবকই অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করে গণেশ পুজোর উদ্যোগ নেয়।

তবে পুজো করবেন কে ? যতদিনে তারা ভেবেছেন গণেশ উৎসব করবেন ততদিনে আর মিলছে না পুরোহিত। এরপরেই খোঁজ মেলে তনুশ্রী চক্রবর্তীর। পেশায় ডাক্তার তনুশ্রী রাজিও হয়ে যান নাইট আউল অ্যাসোসিয়েশনের পুজো করতে।

বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আর পাঁচটি ক্লাব অথবা সংগঠনের মতই শুরু হয় পুজো। তনুশ্রী চক্রবর্তী জানান, ‘এটা অ্যাসোসিয়েশনের যেমন প্রথম পুজো তেমনি আমারও প্রথম। এর আগে এত বড় পুজো আমি করিনি। তবে আমি পুজোটা করি ভালোবেসে। আমার সন্তানদের যেমন আমি স্নেহ করি,  যত্ন করি তেমনি পুজোটাও আমি সেভাবেই করি। একটা মেয়ে যদি স্পেসে যেতে পারে তাহলে একটা পুজো কেন করতে পারবে না। এটা মনের বিষয়। চাইলেই করতে পারে। আর কোথাও এমন বাধা নেই যে মহিলারা পুজো করতে পারবে না। সমাজের মহিলাদের কাছে আমার একটাই বার্তা চাইলে সব বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করা যায়। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও একটাকে পেশা হিসেবে গ্রহন করতে পারে’।

আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, দক্ষিণের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি

অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে কোষাধ্যক্ষ শঙ্কর দাস জানান, ‘আমাদের বাড়িতে আমরা দেখি মা, কাকিমা অথবা স্ত্রীয়েরাই পুজো করেন। সেক্ষেত্রে বড় পুজোর ক্ষেত্রে যে যে রিতী রয়েছে সেটা ভাঙতে চাইছি। শহরের যে বড় পুজোগুলো হয় সেটা মহিলারাও করতে পারে এবং তাদেরও এই কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। অনেক পরিবারই আছেন যারা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয় কিন্তু পুজো করতে পারেন, আমরাই যদি তাদের সুযোগ করে দিই তাহলে তাদেরও খানিকটা আয় হয়। তবে বিসর্জনকে কেন্দ্র করে আমাদের অন্যরকম পরিকল্পনা রয়েছে। গণেশ পুজো আসলে মহারাষ্ট্রের প্রধান পুজো। তাদের যে নিয়মে বাজনার সঙ্গে বিসর্জন হয় আমাদের এবার সেই পরিকল্পনাই রয়েছে’।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.