Siliguri: বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদ, তীর ধনুক হাতে ঘেরাও থানা
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগরের মিলনপল্লী এলাকায় বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ ওঠে। ফাঁসিদেওয়া বিধানসভার বিধায়ক দুর্গা মুর্মুর অভিযোগ বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতা কর্মীদের প্রাণে মারার হমকি দেওয়া হচ্ছিল।
নারায়ণ সিংহ রায়: বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে তীর ধনুক হাতে ঘেরাও থানা। পুলিসের সাথে বচসা বিক্ষোভকারিদের।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগরের মিলনপল্লী এলাকায় বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ ওঠে। ফাঁসিদেওয়া বিধানসভার বিধায়ক দুর্গা মুর্মুর অভিযোগ বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতা কর্মীদের প্রাণে মারার হমকি দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার নির্বাচনের বিভিন্ন কাজ নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক ছিল মিললনপল্লী এলাকায়।
সেখানেই তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। আরও বলা হয়েছে অকথ্য গালিগালাজের পাশাপশি বেধরক মারধোর শুরু করে তারা। বিজেপির দাবি তাদের ১০ থেকে ১২ জন কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর বলে জানানো হয়েছে। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেও কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ বিধায়কের৷ উলটে পুলিসের উপস্থিতিতেই চলে মারধোর।
ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই বিধাননগর থানা ঘেরাও করে বিজেপি কর্মীরা। হাতে তীর ধনুক নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। দাবি , অবিলম্বে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আন্দোলন আরও বড় আকার ধারন করবে। বিধায়ক দুর্গা মুর্মু জানান, "দক্ষিণবঙ্গের স্টাইলে এখানে নির্বাচন করাতে চাইছে সরকার।"
আরও পড়ুন: তিস্তায় উদ্ধার বিশালাকৃতি মাছ, দাম উঠল কয়েক হাজার
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের পাঁচ নম্বর নির্বাচন কেন্দ্র খড়িবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী তথা মহকুমা পরিষদের বিদায়ী দলনেতা কাজল ঘোষ এই বিষয়ে জানান, "বেশিরভাগ আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতেই পারেনি তাদের সঙ্গে এমন ঘটনা তৃণমূক কেন ঘটাতে যাবে। আমরা এমনি জিতে বসে আছি। আর কোথায় বিজেপি। এটা ওরা নিজেরাই ঘটিয়েছে।"