Canning: সারাদিন ফোনে ব্যস্ত স্ত্রী, প্রতিবাদ করায় জুটল বেধড়ক মার! ভয়ংকর পরিণতি স্বামীর...
ওই দম্পতির একটি তিন বছরের কন্যা রয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রী সদানন্দ। শ্বশুরবাড়ির এলাকায় জায়গা কিনে বসবাস শুরু করে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা চলতো। অন্যদিকে ওই যুবকের স্ত্রী অষ্টমীর দাবী, ‘বিয়ের পর থেকে অত্যাচার করতো স্বামী। প্রতিবাদ করলেই আমাকে বেধড়ক মারধর করতো। পাড়ায় কয়েকবার বিচার ও হয়েছিল’।
প্রসেনজিৎ সর্দার: সারাদিন ফোনে ব্যস্ত, কথা শোনেন না স্ত্রী। তার প্রতিবাদ করায় স্বামীকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে। পরে আটক স্ত্রী ও শ্যালক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফাঁকা মাঠের মধ্যে থেকে হাত-পা বাঁধা এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিস। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত গোপালপুর পঞ্চায়েতের নস্কর পাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে স্ত্রী সব সময় ফোনে ব্যস্ত থাকে। তার প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। এই প্রতিবাদ করতেই হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে।
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাঠের মধ্যে থেকে গুরুতর জখম সদানন্দ পৈড়া নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে ক্যানিং থানার পুলিস। পরে পুলিসের গাড়িতেই করে ওই যুবককে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে ওই যুবক আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় ওই যুবকের স্ত্রী অষ্টমী পৈড়া ও শ্যালক অর্জুন মন্ডলকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিস।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত প্রায় সাত বছর আগে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি গ্রামের যুবক সদানন্দ পৈড়ার সঙ্গে বিয়ে হয় গোপালপুর পঞ্চায়েতের নস্কর পাড়ার অষ্টমীর।
ওই দম্পতির একটি তিন বছরের কন্যা রয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রী সদানন্দ। শ্বশুরবাড়ির এলাকায় জায়গা কিনে বসবাস শুরু করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা চলতো।
সদানন্দ পৈড়ার দাবি, ‘তাঁর স্ত্রী একদমই কথা শোনেন না। সারাদিন ফোনে ব্যস্ত থাকে। তাই প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করে পুলিসে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। পরে আমাকে খোলা মাঠে ফেলে রেখে আসে তারা’।
আরও পড়ুন: Murshidabad: অমানবিক মা! ব্রিজের উপর থেকে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেললেন গঙ্গায়, তারপর...
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশীরা ঘটনার খবর জানতে পেরে পুলিসে খবর দেয়। পুলিস আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিস উদ্ধার না করলে মরেই যেতাম’।
অন্যদিকে ওই যুবকের স্ত্রী অষ্টমীর দাবী, ‘বিয়ের পর থেকে অত্যাচার করতো স্বামী। প্রতিবাদ করলেই আমাকে বেধড়ক মারধর করতো। পাড়ায় কয়েকবার বিচার ও হয়েছিল’।
যদিও যুবকের স্ত্রী ও শ্যালক কে আটক করে সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিস।