খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ফাঁদ! লক্ষাধিক টাকা লুঠ
মায়া ঘোষের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি করেন। মায়া তাঁর সঙ্গে আত্মীয়তা পাতিয়ে তাঁর ছেলেকে খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
মনোজ মণ্ডল: খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ। মহিলাকে ঘরবন্দি করে রাখলেন বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদপাড়া ফুলসরা এলাকার বাসিন্দা অর্চনা চিন্তাপত্রর ছেলেকে খাদ্য দফতরের চাকরি দেওয়ার নাম করে ফাঁদে ফেলেন প্রতিবেশী মায়া ঘোষ। ওই মহিলা বিভিন্ন সময়ে অর্চনা দেবীর কাছ থেকে মোট ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। যদিও তিনি অর্চনার ছেলেকে চাকরি করে দেননি। আরও অভিযোগ, বর্তমানে মায়া ঘোষের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
পরবর্তীতে বুধবার সকালে স্থানীয়রা মায়া ঘোষকে তাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে এসে অর্চনার বাড়িতে আটকে রাখেন। টাকার দাবি করেন। অর্চনা দেবী জানান, মায়া ঘোষের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি করেন। মায়া তাঁর সঙ্গে আত্মীয়তা পাতিয়ে তাঁর ছেলেকে খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বর্তমানে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করছেন। এই ঘটনায় মায়ার বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অর্চনা দেবী। যদিও মায়া ঘোষের দাবি, তিনি কোনও টাকা নেননি। স্থানীয়রা চক্রান্ত করে তাঁকে বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করছে।
এই বিষয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস অবশ্য বলেন, মায়া ঘোষের নামে বিভিন্ন সময়ে মানুষের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তিনি শুনেছেন। তবে তিনি এমনটা কেন করছেন জানা নেই। বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানিয়েছেন। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। গোবিন্দ বাবুর আরও দাবি করেন, মায়া ঘোষ একসময় বামফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যদিও বর্তমানে তিনি কোনও রাজনৈতিক দল করেন না।
আরও পড়ুন, Panihati: নিখোঁজ দাদুকে খুঁজতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট নাতনির, অবশেষে মৃতদেহ মিলল গঙ্গার ঘাটে
এ বিষয়ে সিটু-র উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির কার্যকারী কমিটির সদস্য কপিল ঘোষ বলেন, মায়া ঘোষ অনেক আগে বামফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর দাবি, মায়া ঘোষ মূলত এই ধরনের কাজ-ই করে থাকেন।