এক ঝাঁক চিকিত্সক-নার্স করোনা পজেটিভ, পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাজ্যের বড় দুই হাসপাতালের

সোমবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সমস্ত বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে সিন্ধান্ত হয়েছে...

Reported By: অধীর রায় | Updated By: Jul 20, 2020, 09:39 PM IST
এক ঝাঁক চিকিত্সক-নার্স করোনা পজেটিভ, পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাজ্যের বড় দুই হাসপাতালের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড ১৯-এ একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সরা । এই প্রতিকূলতার  মুখোমুখি হয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল এবং বর্ধমান মেডিকেল কলেজ দুটি হাসপাতালের কযেকটি বিভাগের পরিষেবা আপতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । 

আরও পড়ুন: আক্রান্তের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, রাজ্যে শুরু হয়েছে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একঝাঁক চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। এর আগেও বর্ধমান হাসপাতালে ৬ জন চিকিতসকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। চিকিৎসকদের পাশাপাশি দু'জন স্বাস্থ্যকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। সোমবার ফের আরও ছ'জন চিকিৎসক সহ এক স্বাস্থ্যকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যারা হাসপাতালের মানসিক এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত । তাই বন্ধ করে দেওয়া  হয়েছে বর্ধমান হাসপাতালের মানসিক ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের আউটডোর পরিষেবা ।

সোমবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সমস্ত বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে সিন্ধান্ত হয়েছে, পরিষেবা সচল রাখার জন্য বিভিন্ন বিভাগ সংযুক্ত করা হবে। সমস্ত ইউনিট ভেঙ্গে একটিই ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে , মানসিক বিভাগের অনেক ওষুধ মেডিসিন বিভাগ দিতে পারবে, তাই মানসিক ওয়ার্ড বন্ধ থাকার সময় মেডিসিন বিভাগ এই বাড়তি দায়িত্ব নেবে। তেমনই প্রসূতি বিভাগের বেশকিছু চিকিৎসক করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাঁদের সাহায্য করবে সার্জারি বিভাগ। এইভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হবে।

আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ড নিয়ে নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের

অন্যদিকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ২০ জন ডাক্তারের মধ্যে ১৬ জন ডাক্তারের নমুনা পরীক্ষা করা হয় । দুজন ডাক্তারের করোনা পজিটিভ আগেই ধরা পড়েছিল । সোমবার আরও একজন ডাক্তারের রিপোর্ট পজিটিভ আসে এবং একজন অসুস্থবোধ করেন।এই অবস্থায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশাঙ্কা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । তাই সোমবার থেকে বাকি ১৫ জনের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শান্তিপুর হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা এবং নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । যে সমস্ত রোগী আগে থেকে ভর্তি আছেন তাদের যতটুকু পরিষেবা না দিলে নয় তাই দেওয়া হবে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ততে সম্মতি দিয়েছে জেলা স্বাস্থা দফতর ।

.