ভগবানপুরের পুনরাবৃত্তি নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় প্রাণে বাঁচল হাওড়ার খালে আটকে পড়া ডলফিন
সকালেই জোয়ারের জলে অনন্তপুর গ্রামের খালে ভেসে চলে আসে ওই ডলফিন। তারপর একটি কালভার্টে আটকে যায়। আটকে পড়া ডলফিন দেখতে অনেকেই ভিড় জমান খালপাড়ে
নিজস্ব প্রতিবেদন: যা পারেনি পূর্ব মেদিনীপুর। তাই করে দেখাল হাওড়া। জোয়ারের জলে খালে চলে আসা ডলফিনকে উদ্ধার করল বাসিন্দারাই। পরে বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয় ডলফিনটি।
সকালেই জোয়ারের জলে অনন্তপুর গ্রামের খালে ভেসে চলে আসে ওই ডলফিন। তারপর একটি কালভার্টে আটকে যায়। আটকে পড়া ডলফিন দেখতে অনেকেই ভিড় জমান খালপাড়ে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। তবে এর মধ্যেই ডলফিন উদ্ধারে এলাকারই কিছু বাসিন্দা নেমে পড়েন খালে। ভাঁটার টানে জল কম থাকায় ডলফিনটিকে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। তারপর পাঁজকোলা করে হাতদিয়েই ডলফিনটিকে তোলা হয়। বনদফতরের কর্মীরাও ততক্ষণে পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। বনদফতরের কর্মীদের উদ্ধার হওয়া ডলফিনটি তুলে দেন বাসিন্দারা। ডলফিনটি উদ্ধার করে রূপনারায়ণ নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- অবশেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে জখম জহিরুদ্দিন
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পূর্বমেদিনীপুরের ভগবানপুরে খালে সমুদ্র থেকে উঠে আসে একটি বড় ডলফিন। মাছ ধরার জালে আটকে পড়ে ডলফিনটি। তাকে দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনকর্মী ও পুলিস। কিন্তু দেড় দিন লড়াই করেও বাঁচানো যায়নি ডলফিনটিকে। শনিবার হঠাৎই কালীনগরের নিতুড়িয়ার কাছে খালে ভেসে ওঠে ডলফিনের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, খালে বসানো মাছ ধরার জালে ডলফিনের গায়ে আঘাত লাগে, তার জেরেই মৃত্যু হয় তার। দেহে জালের আঘাতের চিহ্নও মিলেছে। বনকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।