Burdwan Couple Arrest: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী! বেঙ্গালুরুতে শিশুপুত্র-সহ গ্রেফতার বর্ধমানের দম্পতি
ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দেখিয়ে কোনও লাভ হয়নি! ভিনরাজ্য়ে কাজে গিয়ে শিশুপুত্রকে নিয়ে জেলে দিন কাটাচ্ছে ওই দম্পতির। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপের আবেদন করেছেন পরিবারের লোকেরা।
অরূপ লাহা: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী? বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গ্রেফতার শিশুপুত্র-সহ বাংলার এক দম্পতি! ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন পরিবারের লোকেরা।
ঘটনাটি ঠিক কী? পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তেলে গ্রামের বাসিন্দা পলাশ অধিকারী। টিনে চালার দু'কামরার ভাঙাচোরা বাড়িতে স্ত্রী শুক্লা ও দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। সঙ্গে বৃদ্ধ বাবা-মাও। কেউ লেপ-তোশক তৈরি করেন, তো বিড়ি বাঁধার কাজ করে উপার্জন করেন। গ্রামে যাঁরা থাকেন, তাঁরা সকলেই গরিব।
এ বছরের জুন মাসে বাবা-মা. স্ত্রী ও ছেলে ও প্রতিবেশীর সুনীল অধিকারীর সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে যান পলাশ। সেখানে এক ব্যক্তি অধীনের কাজ করতেন তাঁরা। থাকতেন বেঙ্গালুরুর মারাথাল্লা মহকুমার ভাথুর থানার লিবেলা এলাকার একটি বাড়িতে। অভিযোগ, ২৭ জুলাই পলাশদের বাড়িতে হানা দেয় ভাথুর থানার পুলিস। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সন্দেহে পলাশ-সহ ৭ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। তারপর? নিজেদের ভারতীয় নাগরিক প্রমাণ করার জন্য আধার কার্ড, প্যান কার্ড, এমনকী ভোটার কার্ডও দেখান ধৃতেরা। বৃদ্ধ বাবা-মা ও প্রতিবেশীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু পলাশ ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ৩ মাস ধরে শিশুপুত্র নিয়ে কর্নাটকের জেলে বন্দি ওই দম্পতি।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, এমন একটা ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এসডিও সাহেব দেখছেন। কোনও যুক্তিতে ওই দম্পতি ও তাঁদের শিশু সন্তানকে বেঙ্গালুরু পুলিস আটকে রেখেছে? প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক আলোক মাঝি। তিনি জানান, 'পলাশ অধিকারী ও তাঁর পরিবারের আমার বিধানসভা এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণও তাঁদের কাছে রয়েছে'। কালীপুজোর মিটলেই এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আশ্বাস দিয়েছেন জামালপুরের বিধায়ক।