Nadia Sucide: স্ত্রীকে খোরপোষ দিতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা? শান্তিপুরে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী
ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিস। আইনি জটিলতায় লাঠে উঠেছিল ব্যবসা! 'নিজের ভাগের পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে বউকে ৫ লাখ দিয়েছিল', দাবি মৃতের দাদার।
বিশ্বজিৎ মিত্র: দাম্পত্য বিবাদ পৌঁছে দিয়েছিল আদালতে। স্ত্রীকে খোরপোষের টাকা দিতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা? গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আত্মহত্যা করলেন স্বামী! ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়াল নদিয়ার শান্তিপুরে।
ঘটনাটি ঠিক কী? শান্তিপুরের সূত্রাগড় লঙ্কাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ধনী। ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট নামডাকও ছিল তাঁর। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখী ছিলেন না বিশ্বজিৎ। পরিবারে লোকেরা জানিয়েছেন, একমাত্র মেয়ে নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে আলাদা থাকেন বিশ্বজিতের স্ত্রী পামেলা। স্বামীর কাছ থেকে খোরপোষ আদায় করার জন্য় আদালতে মামলা করেছিলেন তিনি।
শান্তিপুরে একাই থাকতেন বিশ্বজিৎ। প্রতিবেশীদের দাবি, এদিন সকালে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘরের দরজা ভেঙে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। কীভাবে মৃত্যু? পরিবারের লোকেদের দাবি, মামলা তুলে নাম করে মাঝেমঝ্যেই নাকি স্বামীর কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করতেন পামেলা! অথচ বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
মৃতের দাদা সুজিত ধনী বলেন, 'আইনি জটিলতার ওর ব্যবসায়িক প্রতিপত্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। নিজের ভাগের পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে বউকে ৫ লাখ দিয়েছিল। যে বাড়িতে থাকত, সেই বাড়ি ও জমি মায়ের নামে। দিদি ও বোনেরাও অংশীদার। ওই সম্পত্তি বিক্রি করে কীকরে টাকা জোগাড়় করবে? তাই হয়তো আত্মহত্যা করল'।