Siliguri: পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রাণনাশের হুমকি! শিলিগুড়িতে গ্রেফতার নাবালক
আকার-ইঙ্গিতে ঘটনাটি বাবা-মাকে বুঝিয়ে বলেছে শিশুটি।
নারায়ণ সিংহরায়: পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ! প্রাণনাশের হুমকি? অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। সে আবার নাবালক। ঘটনাস্থল, সেই শিলিগুড়ি। খড়িবাড়ির পর এবার ফাঁসিদেওয়া।
ঘটনাটি ঠিক কী? পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বাড়ি তখন কেউ ছিল না। সেই সুযোগে শনিবার বিকেলে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এরপর বাবা-মা যখন ফেরেন, তখন দেখেন, মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে! কেন? বাবা-মায়ের দাবি, আকার-ইঙ্গিতে নাকি ঘটনাটি বুঝিয়ে বলে শিশুটি।
সোমবার সকালে শিশুটি নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু দিনভর কোনও চিকিৎসা মেলেনি বলে অভিযোগ। ঘড়িতে তখন প্রায় ১১টা। রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে শেষপর্যন্ত শিশুটি ভর্তি নেওয়া হয়। শুরু হয় চিকিৎসাও। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ফাঁসিদেওয়া থানায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শিশুটির বাবা বলেন, 'বাড়িতে কেউ ছিলাম না। আমি ও আমার স্ত্রী কাজে গিয়েছিলাম। বাচ্চাটি বাড়ির সামনে খেলছিল। ছেলেটি সেখান থেকে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই'।
হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড তখন খবরের শিরোনামে। এ বছরের এপ্রিল মাসে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে 'ধর্ষণে'র শিকার হয় ৮ বছরের শিশু! এমনকী, গলায় ছুরি রেখের খুনের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বিকেল ওই শিশুটিকে দোকান থেকে বিস্কুট আনতে বলে অভিযুক্ত মোজাফ্ফর আলি। এরপর যথারীতি বিস্কুট নিয়ে ওই যুবকের বাড়ির সামনে যায় শিশু। তখনই কোলে করে ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়! শুধু তাই নয়. চিৎকার করে উঠলে আবার শিশুটি গলায় ছুরি ঠেকিয়ে গলা ছুরি রেখে প্রাণনাশে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Cooch Behar: জল্পেশকাণ্ডে শোকজ্ঞাপন মোদীর, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার সাহায্যও
তারপর? অভিযুক্ত যুবকের ঠাকুমা ঘর খুলে ঢুকতেই উভয়কে 'বিবস্ত্র' অবস্থায় দেখতে পান। তারপরই ঘটনার কথা জানতে পারেন গ্রামের অন্যান্যরা। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে আসতেই বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
এদিকে, গত বছর শিলিগুড়িরই খড়িবাড়িতে এলাকায়ও বছর নয়েকের শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তের নাম পলাশ বর্মন। বয়স ২৪ বছর। বাড়ি, বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পেশায় সে রাজমিস্ত্রি। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, বাবা-মা কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তখন মানসিক ভারসাম্যহীন দাদার সঙ্গে ছিল শিশুটি। দাদাকে নেশা সামগ্রী দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্ত। এরপর ফাঁকা বাড়িতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে! থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।