দিল্লিতে মেয়ে-জামাইয়ের কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন বাবা-মা! হাইওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪ জনেরই

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মারেন গাড়িচালক।

Updated By: Mar 13, 2020, 10:58 AM IST
দিল্লিতে মেয়ে-জামাইয়ের কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন বাবা-মা! হাইওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪ জনেরই
অরিজিৎ বিশ্বাস, শ্রীকান্ত মাইতি, অনন্যা বিশ্বাস, কবিতা মাইতি (বাঁদিক থেকে)

নিজস্ব প্রতিবেদন : হাইওয়ের উপর ট্রেলার ও গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারালেন বাবা, মা, মেয়ে, জামাই সহ একই পরিবারের ৪ জন। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গাড়িচালকও। লখনউ-দিল্লি হাইওয়ের উপর এটাওয়া জেলার ছোবিয়া থানা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাবা শ্রীকান্ত মাইতি, মা কবিতা মাইতি ও জামাই অরিজিৎ বিশ্বাস। গুরুতর জখম অবস্থায় মেয়ে অনন্যা মাইতি ও গাড়িচালককে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, সেখানেই আজ ভোর রাতে তাঁদের মৃত্যু হয়।

জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়ার বাসিন্দা ছিলেন শ্রীকান্ত মাইতিরা। তবে শ্রীকান্ত মাইতি তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসকের অফিসে জমি ও জমি রাজস্ব বিভাগে চাকরি করতেন। তাই স্ত্রীকে নিয়ে তমলুকে অফিস কোয়ার্টারেই থাকতেন। অন্যদিকে জামাইয়ের চাকরি দিল্লিতে হওয়ায় মেয়ে অনন্যা ও জামাই অরিজিৎ সেখানেই থাকতেন। ৭ মার্চ সস্ত্রীক মেয়ের কাছে দিল্লিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন শ্রীকান্ত মাইতি। এরপর বুধবার রাতেই এই দুর্ঘটনা। লখনউ থেকে গুরগাঁওতে ফিরছিলেন সবাই। গাড়িতে করে লখনউ-দিল্লি হাইওয়ে ধরে ফিরছিলেন তাঁরা। সেইসময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মারেন গাড়িচালক।

আরও পড়ুন, 'ডাস্টবিন থেকে তুলে এনে MLA করেছিলাম...কুকুরের মত তাড়াব', মণিরুলকে হুঁশিয়ারি অনুব্রতর

আরও পড়ুন, ৮ বছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাঁশবাগানে 'ধর্ষণ' ১৬ বছরের কিশোরের

ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় শ্রীকান্ত মাইতি, কবিতা মাইতি ও অরিজিৎ বিশ্বাসের। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় অনন্যা মাইতি ও গাড়িচালকের। জানা গিয়েছে, অরিজিত বিশ্বাস আদতে কলকাতার বাসিন্দা। এটাওয়া পুলিস পরিচয় জানার পর তমলুকে শ্রীকান্ত বাবুর বন্ধুকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। দুঃসংবাদ পাওয়ার পরই একদিকে তমলুকে, অন্যদিকে মহিষাদলে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হাসিখুশি পরিবারের এই মর্মান্তিক পরিণতি কেউ-ই মেনে নিতে পারছেন না।

.