ঘাপটি মেরে ছিল রান্নাঘরে , টর্চের আলো পড়তেই বিকট ফোঁসের আওয়াজ
মঙ্গলবার রাতে মালবাজার ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১৩ ফিটের অজগর। উদ্ধারকাজে ছিলেন তারঘেরা রেঞ্জের গজলডোবা বিটের বন কর্মীরা
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/02/09/174783-picture3.jpg?itok=_rGqEQYp)
![ঘাপটি মেরে ছিল রান্নাঘরে , টর্চের আলো পড়তেই বিকট ফোঁসের আওয়াজ ঘাপটি মেরে ছিল রান্নাঘরে , টর্চের আলো পড়তেই বিকট ফোঁসের আওয়াজ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/06/24/257500-pyrhon1.png)
নিজস্ব প্রতিবেদন: রান্নাঘরে ঘাপটি মেরে বসেছিল। ঘরে ঢুকতেই ফোঁস ফোঁস আওয়াজ। তা শুনে পিলে চমকে যাওয়ার জোগাড় হয় মালবাজারের বাবুজোত এলাকার বিজয় রায়ের বাড়ির সদস্যদের। প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। টর্চের আলোয় দেখা যায় এক বিশালাকৃতি অজগর। এরপর খবর দেওয়া হয় বনকর্মীদের।
মঙ্গলবার রাতে মালবাজারের ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১৩ ফিটের অজগর। উদ্ধারকাজে ছিলেন তারঘেরা রেঞ্জের গজলডোবা বিটের বন কর্মীরা। জানা গেছে ওই বাড়ির রান্নাঘরের কোণে ফোঁস ফোঁস শব্দ করছিলো এই অজগরটি। আর এতেই বিজয় রায়ের সন্দেহ হয়। আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তারপর টর্চের আলোতে দেখা যায় ঘরের কোন শিকারের উদ্দেশ্যে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে বিশাল আকার অজগর। এরপর খবর দেওয়া গাজলডোবা বিটের বন কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে তারঘেরা রেঞ্জের রেঞ্জার শুভজিত মৈত্র, দুই বিট অফিসার শঙ্কর ওড়াও, সুরোজ ছেত্রী এবং অন্যান্য বন কর্মীরা। অজগরটি উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা।
গাজোলডোবা বিট অফিসার সুরজ ছেত্রী বলেন, এটা রক পাইথন প্রজাতির। রাতের বেলায় নিকটবর্তী তারঘেরা জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে এই বাড়িতে ঢুকেছিল। বর্তমানে সুস্থ আছে সাপটি। গজলডোবা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান সুরজবাবু।