Asansol: সরকারি কমিউনিটি হলে জুয়ার ঠেক! আসানসোলে গ্রেপ্তার ১৯
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জুয়ার আসরে হানা দিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। ধৃতদের ২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: আসানসোলে একটি সরকারি কমিউনিটি হল দখল করে জুয়ার ঠেক চালানোর অপরাধে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর আজ, শনিবার ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ থানার অন্তর্গত চাপুই গ্রামে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসানসোলের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা চাপুই গ্রামের এই সরকারি কমিউনিটি হলটিতে হানা দিয়ে জুয়া খেলার অপরাধে হাতেনাতে ১৯ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিসসূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ১৯ জনের থেকে প্রায় ৯৯ হাজার টাকা এবং জুয়া খেলার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই জুয়া-সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে উঠেছিল এই সরকারি কমিউনিটি হলটি। এমনকী, সন্ধ্যার পর বাড়ত দুর্বৃত্তদের আনাগোনা। যার ফলে প্রশ্নের মুখে পড়ছিল স্থানীয়দের নিরাপত্তা। কিন্তু এর আগে বহুবার পুলিসকে জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি বলেই দাবি। আর এর পরেই এই গ্রেফতারির ঘটনা।
সরকারি কমিউনিটি হলকে ঘিরে যেভাবে জুয়ার ঠেক গড়ে উঠেছিল তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজার অন্ত নেই আসানসোলে। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক-বিরোধী কাদা ছোড়াছুড়ি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুলিয়া বলেন, ঘটনাটি তাঁর জানা ছিল না। তবে এ বিষয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুলিয়া ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। তার পরেও গোটা ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে এর দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। শাসকদলের মদতেই এই সব দুষ্কৃতীর বাড়বাড়ন্ত, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
আরও পড়ুন: Malda: মালদহে সরকারি স্কুলে ক্লাসেই ছাতা মাথায় পড়ুয়ারা! কেন?
রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই ঘটনার জন্য সরাসরি পুলিসের দায়সারা মনোভাবকেই দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, গোয়েন্দা দফতর যদি এক্ষেত্রে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে এবং বমাল-সমেত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে তাহলে স্থানীয় থানা এবং রানিগঞ্জ থানার আইসি উভয়েরই ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়। এমনকী, তিনি এ-ও জানান, গোটা ঘটনা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সভাপতি-সহ আরও অনেকেই শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে আছেন। রানিগঞ্জের বিডিও অভীককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ব্লকের অন্তর্গত সমস্ত কমিউনিটি হলের চাবি তাঁর কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের দুদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তদন্তকারী অফিসারকে ঘটনার কেস ডায়েরিও জমা দিতে বলেছেন বিচারক।