আপনার মুখে দেশপ্রেমের কথা মানায় না, নাসিরুদ্দিন শাহকে তুলোধনা ওলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগীরের
নাসিরুদ্দিন শাহ মনে করেন, বর্তমানে দেশের যা অবস্থা তাতে ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : বুলন্দশহরে পুলিশ-খুনের ঘটনায় গোটা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এমন সময় চলতি উত্তেজনায় আগেই হাত পুড়িয়েছেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। এদেশে একজন পুলিশকর্মীর থেকে একটি গরুর প্রাণ বেশি মূল্যবান। এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন নাসিরুদ্দিন। তিনি আরও বলেছিলেন, এদেশে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত। তাঁর এমন মন্তব্যের পর অনেকেই নাসিরুদ্দিন শাহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। নাসিরুদ্দিন শাহের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল আরও একটি নাম। কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্ত। নাসিরুদ্দিনকে তুলোধনা করে তিনি লিখলেন, ''জঙ্গিদের পক্ষে সওয়াল করা মানুষের মুখে আর যাই হোক, দেশপ্রেমের কথা মানায় না।''
আরও পড়ুন- লস এঞ্জেলসে ধোনির মহাভক্ত, গাড়িতে অভিনব কায়দায় লেখা এমএসডির নাম
২০১৫ জুলাইয়ে ইয়াকুব মেননকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ভারত৷ কিন্তু মেননের মৃত্যুদণ্ড মুকুব করার আবেদন উঠেছিল দেশের একাংশে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দেশের কয়েকজন স্বনামধন্য ব্যক্তি ইয়াকুবের মৃত্যুদণ্ড মুকুব করার আবেদন করেছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন নাসিরুদ্দিন। তার পর থেকে অনেকের কাছেই বিরাগভাজন হয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। এদিন যোগেশ্বর দত্ত বলেন, ''ঢাকায় জঙ্গিরা ৩৯ জন ভারতীয়কে হত্যা করেছিল, তখন নাসিরুদ্দিনবাবুর রাগ হয়নি? বুলন্দশহর ঘটনা আমরা সমানভাবে মর্মাহত৷ কিন্তু তার জন্য দেশে ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি৷ জঙ্গিদের সমর্থন জোগানো কারও মুখে দেশপ্রেম মানায় না।''
আরও পড়ুন- শুরুতেই অজি তারকার উইকেট! বিগ ব্যাশে সাড়া ফেলে দিলেন প্রথম নেপালি ক্রিকেটার
নাসিরুদ্দিন শাহ মনে করেন, বর্তমানে দেশের যা অবস্থা তাতে ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যোগেশ্বর তাঁর এমন মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে বলেছেন, ''১৯৮৪ শিখ দাঙ্গা, ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণ অথবা ২৬/১১-র ঘটনার সময় তাঁর একবারও সন্তানের নিরাপত্তার কথা মনে আসেনি?'' তখন তিনি কোথায় ছিলেন? ২০১২ লন্ডন ওলিম্পিকে পদকজয়ী যোগেশ্বর আরও বলেছেন, কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা আমাদের সবার উদ্বেগ বাড়িয়েছে ঠিকই। ভুক্তভোগীদের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। কিন্তু তাই বলে দেশ ছেড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।''