ইনিই হয়তো দুনিয়ার সবচেয়ে 'আনলাকি' ক্রিকেটার

সাফল্যের সবচেয়ে বড় তিনটে উপাদান কী?বিশ্বের সব সফল মানুষই এই প্রশ্নের জবাবে পরিশ্রম, সাধনার পাশাপাশি ভাগ্য বলে জিনিসটাকেও তিনটে উপাদানের তালিকায় রাখেন। কিন্তু কেন? আসলে ভাগ্য জিনিসটাই এমন। ভাগ্যে থাকলে স্বর্গ আর না হলে..হ্যাঁ সেই না হলে কে নিয়েই এই প্রতিবেদন। দুনিয়ার সফল ক্রিকেটারদের নিয়েই মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকে। ব্যর্থ ক্রিকেটারদের খোঁচা দেয়। এমনটাই নিয়ম। বেশিরভাগ মানুষও এমনটাই চায়। কিন্তু কজন খোঁজ রাখে আনলাকি বা অভাগা ক্রিকেটারদের কথা। আসুন এমন এক ক্রিকেটারের কথা শুনি যাকে দুনিয়ার সবচেয়ে আনলাকি ক্রিকেটার হিসেবে ধরা হয়।

Updated By: Jun 12, 2016, 11:22 AM IST
ইনিই হয়তো দুনিয়ার সবচেয়ে 'আনলাকি' ক্রিকেটার

ওয়েব ডেস্ক: সাফল্যের সবচেয়ে বড় তিনটে উপাদান কী?বিশ্বের সব সফল মানুষই এই প্রশ্নের জবাবে পরিশ্রম, সাধনার পাশাপাশি ভাগ্য বলে জিনিসটাকেও তিনটে উপাদানের তালিকায় রাখেন। কিন্তু কেন? আসলে ভাগ্য জিনিসটাই এমন। ভাগ্যে থাকলে স্বর্গ আর না হলে..হ্যাঁ সেই না হলে কে নিয়েই এই প্রতিবেদন। দুনিয়ার সফল ক্রিকেটারদের নিয়েই মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকে। ব্যর্থ ক্রিকেটারদের খোঁচা দেয়। এমনটাই নিয়ম। বেশিরভাগ মানুষও এমনটাই চায়। কিন্তু কজন খোঁজ রাখে আনলাকি বা অভাগা ক্রিকেটারদের কথা। আসুন এমন এক ক্রিকেটারের কথা শুনি যাকে দুনিয়ার সবচেয়ে আনলাকি ক্রিকেটার হিসেবে ধরা হয়।

১৯৯৩ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল আসফাক আমেদের। অভিষেকে দারুণ কিছু করতে না পারলেও বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেটে আক্রম, ওয়াকারকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার লোক পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কপালে সবার সুখ সয় না। এক ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন আসফাক। যে হাতে বল করতেন সেটা ভেঙে যায়। আসফাক ভেঙে পড়েননি। লড়াই চালিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরে। তারপর ওয়ানডে দলে জায়গা মেলে। কিন্তু আবার দুর্ভাগ্য তাড়া করে। আবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েন আসফাক। ফের সেই হাতেই চোট পান। ডাক্তররা জানিয়ে দেন একই জায়গায় দুবার চোট লাগায় মাঠে ফেরা অসম্ভব। আসফাক ছলছলে চোখে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরে। সেই শেষে। খেলা তো দূরে থাক আসফাক আর কোনও দিন ক্রিকেট মাঠে যাননি।

খেলা ছাড়ার পর কোনও এক জঙ্গি হামলায় আসফাকের বাড়িতে বোম পড়ে বলে শোনা যায়। আসফাকের আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন বাদে ইংল্যান্ডের এক রেলস্টেশনে কাবাব খেতে যান পাক স্পিনার সাকলেন মুস্তাক। যে ভদ্রলোক সাকলেনকে কাবাব দেন, তাকে দেখে কেমন যেন চেনা চেনা লাগে সাকলেনের। হ্যাঁ, সেই আসফাকই এখন কাবাব বিক্রেতা। পুরনো বন্ধুকে দেখে কেঁদে ফেলেন সাকলেন। আসফাক এখন রেল প্ল্যাটফর্মে কাবাব বিক্রি করে কষ্টে সংসার চালান।

ভাবা যায় ভাগ্যের ফেরে একটা মানুষের জীবন কতটা বদলে যায়। তা না হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা কোনও ক্রিকেটার ক্রিকেটকে আড়ি করে এভাবে জীবন কাটাবেন কেন?

Tags:
.